পাল্টাপাল্টি হামলা ঘিরে ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে বর্তমানে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। যেকোনো মুহূর্তে মধ্যপ্রাচ্যের এই দুই শক্তিধর দেশের মধ্যে যুদ্ধ পর্যন্ত বেধে যেতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করছেন বিশ্লেষকরা। ইরানের হামলার পর এখনো কোনো জবাব না দিলেও ইরানি পরমাণু স্থাপনায় ইসরায়েল হামলা করতে পারে বলে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন জাতিসংঘের পারমাণবিক পর্যবেক্ষণ সংস্থার প্রধান। খবর এনডিটিভির।
সোমবার (১৫ এপ্রিল) আন্তর্জাতিক পারমাণবিক শক্তি সংস্থার (আইএইএ) প্রধান বলেছেন, ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় ইসরায়েলের সম্ভাব্য হামলায় তিনি উদ্বিগ্ন। তবে আজ মঙ্গলবার ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় পর্যবেক্ষণ কার্যক্রম আবার শুরু করেছে সংস্থাটি।
আইএইএ-এর মহাপরিচালক রাফায়েল গ্রসি বলেছেন, নিরাপত্তা বিবেচনায় রোববার নিজেদের পারমাণবিক স্থাপনা বন্ধ রাখে ইরান। সোমবার সেগুলো আবার চালু হয়েছে। তবে পরিস্থিতি শান্ত না হওয়া পর্যন্ত আমরা আমাদের সংস্থার পরিদর্শকদের এসব স্থাপনা থেকে দূরে সরিয়ে রেখেছি।
গত শনিবার রাতে গাজা যুদ্ধ শুরুর পর প্রথমবারের মতো ইসরায়েলে নজিরবিহীন হামলা চালায় ইরান। মূলত চলতি মাসের শুরুর দিকে সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে ইরানের দূতাবাসে ইসরায়েলি বোমা হামলার জবাবে শত শত ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে এই পাল্টা হামলা করে তেহরান।
সোমবার ইসরায়েলের সামরিক বাহিনীর প্রধান বলেছেন, ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলার জবাব দেবে তার দেশ। যদিও মধ্যপ্রাচ্যে নতুন করে যুদ্ধ এড়াতে যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা মিত্ররা জবাব দেওয়া থেকে বিরত থাকতে তেল আবিবকে চাপ দিয়ে আসছে।
গত ১ এপ্রিল সিরিয়ার দামেস্কে অবস্থিত ইরানের কনস্যুলেটে হামলা চালিয়ে দেশটির কয়েকজন সামরিক কর্মকর্তাকে হত্যা করে ইসরায়েল। এ ঘটনার প্রতিশোধ নিতে একের পর এক হুঁশিয়ারি দিয়ে আসছিল ইরান।
যুক্তরাষ্ট্রের তরফ থেকেও দাবি করা হয়, ইসরায়েলে হামলায় ব্যবহারের জন্য শতাধিক ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র প্রস্তুত করেছে ইরান। যে কোনো সময় এ অস্ত্র ব্যবহার করা হতে পারে। সে অনুযায়ী প্রস্তুতি নেওয়ার কথা জানায় ইসরায়েল।