ইরানের ভূখণ্ড থেকে নজিরবিহীন হামলায় ইসরায়েলজুড়ে ব্যাপক বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটছে। জেরুজালেম ও তেল আবিবসহ পুরো ইসরায়েলজুড়ে বাজছে বিমান হামলার সাইরেন। খবর আলজাজিরার।
ইহুদিবাদী রাষ্ট্র ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে স্থানীয় সময় শনিবার (১৩ এপ্রিল) গভীর রাতে ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে হামলা চালায় তেহরান। সম্প্রতি সিরিয়ার রাজধানীতে ইরানি কনস্যুলেটে হামলার জবাবে এই হামলা চালাল ইরান।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এরইমধ্যে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার বাসিন্দাদের বোমা হামলার শেল্টারের কাছাকাছি থাকার নির্দেশ দিয়েছে। ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে ইরান নজিরবিহীন হামলা চালানো শুরু করেছে এবং তেল আবিব ও জেরুজালেমসহ ইসরায়েলজুড়ে বিমান হামলার সাইরেন এবং বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যাচ্ছে।
জানা গেছে, ইরান থেকে উৎক্ষেপণ করা ক্ষেপণাস্ত্র এবং ড্রোনগুলোকে ধ্বংস করতে একযোগে কাজ করছে ইসরায়েল, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও জর্ডান।
আইআরজিসি জানিয়েছে, তারা ‘ট্রু প্রমিজ’ অপারেশনের অধীনে শনিবার এ হামলা চালিয়েছে। এটিকে ইসরায়েলের কৃত অপরাধের শাস্তি হিসেব উল্লেখে করেছে তারা।
এর আগে শনিবার আনাদোলু এজেন্সির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রের দাবি, ইরান ইসরায়েলের বিরুদ্ধে হামলায় সম্ভাব্য ব্যবহারের জন্য ১০০-এর বেশি ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র প্রস্তুত করেছে। যেকোনো সময় এ অস্ত্র ব্যবহার করা হতে পারে।
অন্য এক খবরে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের কয়েকজন কর্মকর্তা ধারণা করছেন, হামলায় ইরান ১০০ ড্রোন ও কয়েক ডজন ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করতে পারে। মার্কিন কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে সিবিএস নিউজ জানিয়েছে, ইরান যদি ১০০ ড্রোন ও কয়েক ডজন ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে হামলা চালায় তাহলে এটি ঠেকানো ইসরাইলের জন্য ‘চ্যালেঞ্জিং’ হয়ে যাবে।
প্রসঙ্গত, গত ১ এপ্রিল সিরিয়ার দামেস্কে অবস্থিত ইরানের কনস্যুলেটে হামলা চালিয়ে কয়েকজন সামরিক কর্মকর্তাকে হত্যা করে ইসরায়েল। এ ঘটনার প্রতিশোধ নিতে একের পর এক হুঁশিয়ারি দিয়ে আসছে ইরান।