ইরানের নজিরবিহীন হামলার জবাব দিতে দেশটির ওপর সম্ভাব্য হামলার প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে ইসরায়েলের বিমানবাহিনী। সোমবার (১৫ এপ্রিল) ইসরায়েলি স্থানীয় গণমাধ্যমের বরাতে এ তথ্য জানিয়েছে তুর্কি বার্তা সংস্থা আনাদোলু।
ইসরায়েলের সরকারি সম্প্রচার মাধ্যম কেএএন জানিয়েছে, তেল আবিব একটি সীমিত জবাব দেওয়ার পরিকল্পনা করছে। এর ফলে হামলার ক্ষয়ক্ষতি সামাল দিতে পারবে তেহরান। এ ছাড়া সর্বাত্মক যুদ্ধ এড়ানো যাবে।
সম্প্রচার মাধ্যমটি বলছে, ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকাকে প্রধান যুদ্ধক্ষেত্র হিসেবে রাখতে চাইছে ইসরায়েল। তাই নতুন করে দ্বিতীয় আর কোনো যুদ্ধ ফ্রন্ট খুলতে চায় না দেশটি।
ইরানের ওপর ইসরায়েলের হামলাটির ধরন কেমন হতে পারে সে সম্পর্কে একটা ধারণা দিয়েছে কেএএন। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইরানের ভেতরে গুপ্ত হত্যাকাণ্ড বা বড় ধরনের সাইবার হামলা করতে পারে তেল আবিব।
গত শনিবার রাতে গাজা যুদ্ধ শুরুর পর প্রথমবারের মতো ইসরায়েলে নজিরবিহীন হামলা চালায় ইরান। মূলত চলতি মাসের শুরুর দিকে সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে ইরানের দূতাবাসে ইসরায়েলি বোমা হামলার জবাবে শত শত ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে এই পাল্টা হামলা করে তেহরান।
সোমবার ইসরায়েলের সামরিক বাহিনীর প্রধান বলেছেন, ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলার জবাব দেবে তার দেশ। যদিও মধ্যপ্রাচ্যে নতুন করে যুদ্ধ এড়াতে যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা মিত্ররা জবাব দেওয়া থেকে বিরত থাকতে তেল আবিবকে চাপ দিয়ে আসছে।
গত ১ এপ্রিল সিরিয়ার দামেস্কে অবস্থিত ইরানের কনস্যুলেটে হামলা চালিয়ে দেশটির কয়েকজন সামরিক কর্মকর্তাকে হত্যা করে ইসরায়েল। এ ঘটনার প্রতিশোধ নিতে একের পর এক হুঁশিয়ারি দিয়ে আসছিল ইরান।
যুক্তরাষ্ট্রের তরফ থেকেও দাবি করা হয়, ইসরায়েলে হামলায় ব্যবহারের জন্য শতাধিক ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র প্রস্তুত করেছে ইরান। যে কোনো সময় এ অস্ত্র ব্যবহার করা হতে পারে। সে অনুযায়ী প্রস্তুতি নেওয়ার কথা জানায় ইসরায়েল।