ইসরাইলে তিন শতাধিক ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে ইরান। এর মধ্যে বেশ কয়েকটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রও ছিল। ইরানের কয়েক ঘণ্টার আক্রমণ প্রতিহত করতে ইসরাইলের ১ বিলিয়নেরও বেশি মার্কিন ডলারের মিসাইল এবং গোলাবারুদ খরচ হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, ইসরাইলে হামলায় ৪৫০ কেজি ওজনেরও ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করেছে ইরান।
এ বিষয়ে ইসরাইলের গণমাধ্যম চ্যানেল-টুয়েলভ একটি ভিডিও প্রকাশ করেছে। এতে ৪৫০ কেজি ওজনের একটি ইরানি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র দেখা গেছে। মৃত সাগর থেকে উদ্ধার করা হয়েছে এটি। ধারণা করা হচ্ছে, ইসরাইলে হামলার সময় এটি মৃত সাগরে পড়েছে।
ভিডিওতে ক্ষেপণাস্ত্রটিকে একটি ইসরাইলি সামরিক ঘাঁটির কাছে দেখা যাচ্ছে। পাশে ফিলিস্তিনি-পতাকাযুক্ত আরেকটি ক্ষেপণাস্ত্র রয়েছে। তবে ক্ষেপণাস্ত্রটি আসলেই ইরানের ছোড়া কিনা কোনো পক্ষই নিশ্চিত করেনি। ভিডিওটিও স্বাধীনভাবে যাচাই করা যায়নি।
শনিবার (১৩ এপ্রিল) স্থানীয় সময় রাতে ইসরাইলে আঘাত হানে ইরানের শত শত ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র। সিরিয়ায় থাকা নিজেদের কনস্যুলেটে হামলার প্রতিশোধ নিতে এ হামলা চালায় তেহরান।
এদিকে ইসরাইলে ইরানের ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পর নিরাপত্তা ইস্যুতে নিজেদের পারমাণবিক স্থাপনা সাময়িকভাবে বন্ধ করেছে ইরান। সোমবার (১৫ এপ্রিল) জাতিসংঘের পরমাণু পর্যবেক্ষণ সংস্থার প্রধান রাফায়েল গ্রসি বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকের ফাঁকে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থা (আইএইএ) প্রধান গ্রসিকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল যে তিনি হামলার প্রতিশোধ হিসেবে ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় ইসরাইলের হামলার আশঙ্কা করছেন কিনা।
জবাবে তিনি বলেন, ‘আমরা সবসময় এই আশঙ্কার মধ্যে আছি। আমি আপনাকে যা বলতে পারি তা হলো তেহরানে আমাদের পরিদর্শকদের রোববার ইরান সরকার জানিয়েছে আমরা যেসব পারমাণবিক স্থাপনাগুলো প্রতিদিন পরিদর্শন করছি সেগুলো নিরাপত্তার খাতিরে বন্ধ থাকবে’।