ইসরায়েলে হামলা শুরু করেছে ইরান। শনিবার (১৩ এপ্রিল) গভীর রাতে ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে হামলা চালিয়েছে দেশটি। রোববার (১৪ এপ্রিল) বার্তাসংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রয়টার্সের সাংবাদিকরাও ইসরায়েলে সাইরেন ও দূর থেকে বিকট শব্দ শুনতে পেয়েছেন। স্থানীয় সংবাদমাধ্যম এ আওয়াজকে বিস্ফোরক ড্রোন ভূপাতিতের শব্দ বলে উল্লেখ করেছে। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ইরানের এ হামলায় ৭ বছরের এক শিশু গুরুতর আহত হয়েছে।
এদিকে আলজাজিরার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইরান ইসরায়েলে কয়েক ডজন ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় চালিয়েছে। ইসরায়েল জানিয়েছে, ইরান তাদের হামলা শুরু করেছে। এরপর ইরানের বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর (আইআরজিসি) পক্ষ থেকে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।
আইআরজিসি জানিয়েছে, তারা ‘ট্রু প্রমিজ’ অপারেশনের অধীনে শনিবার এ হামলা চালিয়েছে। এটিকে ইসরায়েলের কৃত অপরাধের শাস্তি হিসেব উল্লেখে করেছে তারা।
এর আগে শনিবার আনাদোলু এজেন্সির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রের দাবি, ইরান ইসরায়েলের বিরুদ্ধে হামলায় সম্ভাব্য ব্যবহারের জন্য ১০০-এর বেশি ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র প্রস্তুত করেছে। যে কোনো সময় এ অস্ত্র ব্যবহার করা হতে পারে।
অন্য এক খবরে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রের কয়েকজন কর্মকর্তা ধারণা করছেন, হামলায় ইরান ১০০ ড্রোন ও কয়েক ডজন ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করতে পারে। মার্কিন কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে সিবিএস নিউজ জানিয়েছে, ইরান যদি ১০০ ড্রোন ও কয়েক ডজন ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে হামলা চালায় তাহলে এটি ঠেকানো ইসরাইলের জন্য ‘চ্যালেঞ্জিং’ হয়ে যাবে।
গত ১ এপ্রিল সিরিয়ার দামেস্কে অবস্থিত ইরানের কনস্যুলেটে হামলা চালিয়ে কয়েকজন সামরিক কর্মকর্তাকে হত্যা করে ইসরায়েল। এ ঘটনার প্রতিশোধ নিতে একের পর এক হুঁশিয়ারি দিয়ে আসছে ইরান।