ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে একইদিনে ১৭০টির বেশি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে ইসলামী প্রতিরোধ আন্দোলন হিজবুল্লাহ। বুধবার (১২ জুন) সকালে দফায় দফায় এসব ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ে লেবাননের শক্তিশালী সশস্ত্র গোষ্ঠীটি। হিজবুল্লাহর এসব ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে ইসরায়েলের বিভিন্ন জায়গায় বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে।
ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইসরায়েল জানিয়েছে, গত ৮ মাস ধরে চলা এ যুদ্ধে এটি ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে হিজবুল্লাহর চালানো অন্যতম বড় রকেট হামলা।
সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, লেবানিজ গোষ্ঠীটির এবারের হামলায় লক্ষ্য করা হয়েছে তাইবেরিয়াসকে। চলমান যুদ্ধে এর আগে এই অঞ্চলে কোনো রকেট ছুড়েনি হিজবুল্লাহ। রকেট হামলায় এখন পর্যন্ত কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি বলেও জানিয়েছে টাইমস অব ইসরায়েল।
গতকাল রাতে লেবাননে বিমান হামলা চালিয়ে দখলদার ইসরায়েল হিজবুল্লাহর এক জ্যেষ্ঠ নেতাকে হত্যা করে। ওই হামলার প্রতিবাদেই একসঙ্গে এত রকেট ছোড়া হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
হিজবুল্লাহর রকেট হামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে ইসরায়েল প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ)। তারা জানিয়েছে, লেবানন থেকে অন্তত ৯০টি রকেট উত্তর ইসরায়েল প্রবেশ করেছে। এর মধ্যে কিছু রকেট আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ব্যবহার করে ধ্বংস করা হয়েছে। আর কিছু রকেট কয়েক জায়গায় আঘাত হেনেছে।
লেবাননের আল-মায়াদিন টেলিভিশন চ্যানেল জানিয়েছে, গোলান মালভূমির আপার গ্যালিলিতে কয়েক ডজন বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে। এরমধ্যে কয়েকটি ক্ষেপণাস্ত্র রামিম ক্লিফ, আল মানারা এবং আরও কয়েকটি অবৈধ ইহুদি বসতিতে আঘাত হানে।
রকেট পড়ে বিভিন্ন স্থানে আগুন লেগেছে বলে জানিয়েছে ইসরায়েলি সেনবাহিনী। তবে তারা দাবি করেছে, এই হামলায় বড় ধরনের কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।
প্রাথমিক অবস্থায় ইসরায়েল একশরও বেশি রকেট ছোড়ার কথা বলেছিল। এর কিছুক্ষণ পর উত্তর ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে আরও ৭০টি রকেট ছোড়ে হিজবুল্লাহ। ইসরায়েল দাবি করেছে, এসব রকেট খোলা জায়গায় পড়েছে। আর অল্পসংখ্যক অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।