Friday, November 22, 2024

হোটেলে নারী পুলিশের সঙ্গে ধরা, ডেপুটি সুপার হয়ে গেলেন কনস্টেবল

আরও পড়ুন

ভারতের উত্তর প্রদেশে কৃপা শঙ্কর কানৌজিয়া নামে পুলিশের এক ডেপুটি সুপারিনটেনডেন্টকে কনস্টেবল পদে পদাবনতি দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। একটি হোটেলে এক নারী কনস্টেবলের সঙ্গে আপত্তিকর অবস্থায় ধরাপড়ার তিন বছর পর তাকে এই শাস্তি দেওয়া হলো।

মূলত পুলিশের অধঃস্তন ওই কর্মীর সঙ্গে বিবাহ-বহির্ভূত শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনের অপরাধেই ডিমোশন হয়েছে পুলিশের এই কর্মকর্তার। রোববার (২৩ জুন) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডে।

তিন বছর আগে পুলিশের ডেপুটি সুপারিনটেনডেন্ট কৃপা শঙ্কর কানৌজিয়া এক নারী কনস্টেবলের সঙ্গে হোটেল রুমে আপত্তিকর অবস্থায় ধরা পড়েছিলেন। এরপরই তার বিরুদ্ধে তদন্ত করে রিপোর্ট জমা দেওয়া হয় রাজ্য সরকারের কাছে।

আরও পড়ুনঃ  হাত বিচ্ছিন্ন ইসরায়েলি জিম্মির ভিডিও প্রকাশ

তিনি উন্নাওয়ের বিঘাপুরের সার্কেল অফিসার ছিলেন। তবে পরে শাস্তি হিসাবে তাকে সেখান থেকে সরিয়ে গোরক্ষপুরের ২৬তম প্রভিনশিয়াল আর্মড কনস্টেবলারি ব্যাটেলিয়নের কনস্টেবল পদে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম বলছে, ২০২১ সালের জুলাই মাসে কৃপা শঙ্কর নামের ওই পুলিশ কর্মকর্তা পারিবারিক কারণ দেখিয়ে ছুটি নিয়েছিলেন। কিন্তু বাড়ি ফেরার বদলে তিনি কানপুরের একটি হোটেলে যান। সঙ্গে ছিলেন এক নারী কনস্টেবল। হোটেলে ঢুকেই কৃপা শঙ্কর তার নিজের ও অফিসের মোবাইল বন্ধ করে দেন।

আরও পড়ুনঃ  ‘আমার মেয়েকে পিটিয়ে মেরেছে জিসান’

এদিকে স্বামীর খোঁজ না পেয়ে ওই সার্কেল অফিসারের স্ত্রী উন্নাওয়ের পুলিশ সুপারের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। খোঁজ খবর নিয়ে জানা যায়, কানপুরের হোটেলে ঢোকার পরই মোবাইল বন্ধ হয়ে গেছে। বিপদের আশঙ্কা করে সঙ্গে সঙ্গে ওই হোটেলে পৌঁছায় উন্নাও পুলিশ।

কিন্তু কোনও ধরনের বিপদ নয়, বরং আপত্তিজনক অবস্থায় নারী পুলিশ সদস্যের সঙ্গে পাওয়া যায় ওই সার্কেল অফিসারকে। সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজেও তাদের একসঙ্গে হোটেলে প্রবেশ করতে দেখা যায়, আর এটি পরবর্তী তদন্তের জন্য গুরুত্বপূর্ণ প্রমাণ হয়ে ওঠে।

মূলত এই ঘটনায় ঘুরে যায় তদন্তের মোড়। ডিউটি থেকে ছুটি নিয়ে নারী কনস্টেবলের সঙ্গে হোটেলে গিয়ে বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্ক করা নিয়ে তদন্ত শুরু হয় ওই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে। সরকারের কাছে সেই তদন্তের রিপোর্টও জমা পড়ে।

আরও পড়ুনঃ  এমপি আনার হত্যার মূল মাস্টারমাইন্ড কে এই আখতারুজ্জামান শাহিন?

প্রতিবেদন পুঙ্খানুপুঙ্খ পর্যালোচনার পর কৃপা শঙ্করকে কনস্টেবল পদে পদাবনতির সুপারিশ করে সরকার। পরে পুলিশের এডিজি (প্রশাসন) অবিলম্বে এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে একটি আদেশ জারি করেন।

আর এতেই নারী পুলিশকে নিয়ে হোটেলে যাওয়ার তিন বছর পরে কৃপা শঙ্করকে পুলিশ কর্মকর্তার পদ থেকে ডিমোশন দিয়ে কনস্টেবল করে দেওয়া হলো।

আপনার মতামত লিখুনঃ

সর্বশেষ সংবাদ