মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে যুদ্ধের আবহ বিরাজ করছে। যে কোনো মুহূর্তে ইসরায়েলে স্মরণকালের সবচেয়ে ভয়াবহ হামলা চালিয়ে বসতে পারে ইরান। এমন সতর্কবার্তার পর ঘুম হারাম হয়ে গেছে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর। কী করবেন, কার দরবারে যাবেন তা নিয়ে দৌড়ঝাঁপ করছেন তিনি।
মার্কিন গোয়েন্দা তথ্য বলছে, কয়েক ঘণ্টার মধ্যে ভয়াবহ হামলার শিকার হতে পারে তেলআবিব। সেই সক্ষমতা ইরানের আছে। এরপরই মূলত, নড়েচড়ে বসেন নেতানিয়াহু। সত্যিই যদি হামলা চালিয়ে বসে তেহরান তাহলে কোন পথে হাঁটবে ইসরায়েল। কী পদক্ষেপ নেবে তারা? এসব বিষয় ঠিক করতে বাঘাবাঘা মন্ত্রীদের সাথে বৈঠকে বসছেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী।
গেল ১ এপ্রিল সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে ইরানি কনস্যুলেটে ইসরায়েলের বিমান হামলার পর তেহরানের প্রতিশোধ নেওয়ার হুমকি দেওয়ায় ওই অঞ্চল এবং যুক্তরাষ্ট্র সতর্কাবস্থায় রয়েছে।
গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে মার্কিন কর্মকর্তা ধারণা করছেন, হামলায় ইরান ১০০ ড্রোন ও কয়েক ডজন ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করতে পারে। আর ইরানের এমন বড় হামলার শঙ্কার মধ্যে মন্ত্রীদের সঙ্গে জরুরি বৈঠক ডেকেছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু।
মার্কিন কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে সিবিএস নিউজ জানিয়েছে, ইরান যদি ১০০ ড্রোন ও কয়েক ডজন ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে হামলা চালায় তাহলে এটি ঠেকানো ইসরায়েলের জন্য ‘চ্যালেঞ্জিং’ হয়ে যাবে। বিবিসি জানিয়েছে, ইরানের সম্ভাব্য হামলার পর করণীয় ঠিক করতে প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োহাভ গ্যালান্টসহ যুদ্ধকালীন মন্ত্রিসভার সঙ্গে বৈঠক করবেন নেতানিয়াহু। এছাড়া বিরোধীদলীয় নেতা বেনি গান্তজের সঙ্গেও আলোচনা করবেন তিনি।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের সতর্ক বার্তার ৪৮ ঘণ্টা না পেরোতেই মুহুর্মুহু রকেট হামলার শিকার ইসরায়েল। শুক্রবার ইসরায়েলের ভূখণ্ডে ৫০টিরও বেশি রকেট ছোড়া হয়েছে। তবে এই রকেট হামলায় কি পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তার তথ্য এখনো পাওয়া যায়নি। শঙ্কা করা হচ্ছে, মধ্যপ্রাচ্যে ইসরায়েলের সাথে যুদ্ধ শুরু হয়ে গেছে।
ইসরায়েলে যে কোনো মুহূর্তে হামলা চালাতে পারে ইরান, এমনকি সেই হামলা হতে পারে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই। গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে যুক্তরাষ্ট্র আগেই এমন আশঙ্কার কথা জানিয়ে দিয়েছিল। সেই সময়ের আগেই দক্ষিণ লেবানন থেকে ইসরায়েলে হামলা চালিয়েছে ইরান-সমর্থিত লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ।