ইসরায়েলে যে কোনো মুহূর্তে হামলা চালাতে পারে ইরান, এমন আশঙ্কার মধ্যেই ইসরায়েল ভূখণ্ডে একের পর এক রকেট হামলা চালিয়েছে হিজবুল্লাহ। শুক্রবার (১২ এপ্রিল) দক্ষিণ লেবানন থেকে ইসরায়েলের ভূখণ্ডে ৫০টিরও বেশি রকেট হামলা করেছে বলে জানায় ইরান-সমর্থিত লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ।
ইরান-ইসরায়েলের চরম উত্তেজনার মধ্যে হিজবুল্লাহর এই রকেট হামলায় হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি। টাইমস অব ইসরায়েলের খবরে হামলার ঘটনা নিশ্চিত করা হয়েছে।
এদিকে ইসরায়েলে ইরানের হামলা একটি ‘বাস্তব ও গ্রহণযোগ্য’ হুমকি হয়ে উঠেছে বলে জানিয়েছে হোয়াইট হাউস। শুক্রবার সিবিএস নিউজকে যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা বলেছেন, শিগগিরই ইসরায়েলে বড় ধরনের হামলা হতে পারে। ইসরায়েল বলেছে, আত্মরক্ষা ও আক্রমণ উভয় দিক দিয়েই প্রস্তুত রয়েছে তারা।
যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের মুখপাত্র জন কারবি শুক্রবার বলেন, ‘কোন আকারে, কোন মাত্রায় এবং কোন সুযোগ নিয়ে হামলা হতে পারে, তা আমি বলতে পারছি না।’ তবে ইরানের হামলার হুমকি ‘কার্যকর’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, ওয়াশিংটন ‘খুব নিবিড়ভাবে বিষয়টি দেখছে।’
মার্কিন কর্মকর্তাদের বরাতে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম জানায়, হামলায় রাইসি প্রশাসন ১০০টি ড্রোনে কয়েক ডজন ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করবে। তা ঠেকানো ইসরায়েলের জন্য চ্যালেঞ্জিং হয়ে যাবে বলেও জানান মার্কিন শীর্ষ কর্মকর্তারা। তবে শেষ মুহূর্তে ইরান হামলার সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসতে পারে বলেও ধারণা তাদের।
গত ১ এপ্রিল সিরিয়ার দামেস্কে অবস্থিত ইরানের কনস্যুলেটে হামলা চালিয়ে কয়েকজন সামরিক কর্মকর্তাকে হত্যা করে ইসরায়েল। এ ঘটনার প্রতিশোধ নিতে বদ্ধপরিকর ইরানের নেতারা। তবে ইরান যেন ইসরায়েলে হামলা না করে এ জন্য বারবার সতর্ক করছে যুক্তরাষ্ট্র।
প্রসঙ্গত, ইরানের মদদে মধ্যপ্রাচ্যে লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ, ইয়েমেনের হুতি এবং গাজার হামাস নিজেদের তৎপরতা চালায়। আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকদের ধারণা, ইরান এই তিন গোষ্ঠীর মাধ্যমে নিজেদের প্রয়োজনীয় প্রক্সি যুদ্ধ চালিয়ে আসছে।