বিশ্বের গাড়ি শিল্পে বৈদ্যুতিক গাড়ি (Electric Car) বড় এক মাত্রা যোগ করেছে। এই গাড়ি পরিবেশবান্ধব। অন্যদিকে এটি জ্বালানি-সাশ্রয়ী। এই গাড়ির জ্বালানি খরচ প্রচলিত গাড়ির পাঁচ ভাগের একভাগ মাত্র। এত সুবিধা থাকার পরও যত এটি জনপ্রিয় হওয়ার কথা ছিল, ততটা হচ্ছে না। এর অন্যতম কারণ এর চার্জিং সমস্যা।
তবে বৈদ্যুতিক গাড়ির চার্জ নিয়ে ভয়ের দিন শেষ হতে চলেছে। চীনের গাড়ি উৎপাদনকারী কোম্পানি ফার্স্ট অটো ওয়ার্কার্স (এফএডব্লিউ) এমনই এক বৈদ্যুতিক গাড়ি নিয়ে এসেছে এক চার্জেই যা চলতে পারবে ১ হাজার ২০০ কিলোমিটার। খবর মিলেছে ফাস্ট অটো ওয়ার্কার্স অর্থাৎ এফএডব্লিউ বেস্টুন ব্র্যান্ডের অধীনে Xiaoma ছোট বৈদ্যুতি হ্যাচব্যাগ চালু করেছে।
ইতোমধ্যে বিভিন্ন রিপোর্ট সূত্রে খবর মিলেছে এই মাস থেকে গাড়িটির প্রাক বিক্রয় শুরু হবে। এমনও খবর সামনে আসছে যে প্রাথমিকভাবে এই গাড়িটি Wuling Hongguang MINI EV এর সাথে প্রতিদ্বন্ধিতা করবে। যা এই Bestune Xiaoma দাম রাখা হয়েছে আনুমানিক ৩.৪৭ লক্ষ থেকে ৫.৭৮ লক্ষ টাকা।
প্রসঙ্গত, এই বছরের শুরু থেকেই সাংহায় অটো শোতে Bestune Xiaoma উন্মোচিত করেছিল। এর হার্ড টপ এবং কনভার্টেবল উভয়ই সংস্করণ প্রদর্শন করা হয়েছিল। তবে জানা গেছে বর্তমানে শুধুমাত্র হার্ডটপ ভেরিয়েন্ট বিক্রি করা হচ্ছে।
গাড়িটিতে একটি ৭ ইঞ্চি টাচস্ক্রিন ইনফোটেইনমেন্ট সিস্টেম দেওয়া হয়েছে। ড্যাশবোর্ডেও রয়েছে একটি আকর্ষণীয় ডুয়াল টোন থিম। এতে ইভি ও রেঞ্জ এক্সটেন্ডার ডেডিকেটেড চ্যাসিস রয়েছে। বর্গাকার হেডল্যাম্প ঐ গাড়ির পিছনে টেলল্যাম্প লক্ষ্যণীয়।
জানা যাচ্ছে, এই মাইক্রো ইভি পিছনের এক্সেল এর ওপর অবস্থিত একটি সিঙ্গেল ২০ কিলোওয়াট বৈদ্যুতিক মোটর দ্বারা চালিত হয়। গাড়িটি লিথিয়াম আয়রন ফসফেট ব্যাটারি দিয়ে সজ্জিত। তবে পাওয়ার ট্রেন সম্পর্কে এর থেকে বেশি বিস্তারিত তথ্য মেলেনি। নিরাপত্তার ক্ষেত্রে গাড়িটিতে দেওয়া হয়েছে এয়ার ব্যাগ। গাড়িতে তিন দরজার কনফিগারেশন রয়েছে। V আর্কিটেকচার সমর্থিত এই গাড়ির আরও আপডেট অতি শীঘ্রই পাওয়া যাবে বলে আশা করা হচ্ছে।