ক্রীড়াঙ্গন ছাপিয়ে তামিম ও মিরাজের ওই ফোনালাপ দেশজুড়ে আলোচনা-সমালোচনার জন্ম দিয়েছে। জাতীয় দলকে ঘিরে বাংলাদেশের মানুষের আবেগকে কাজে লাগিয়ে এমন বিজ্ঞাপন এখন টক অব দ্য কান্ট্রি। তামিম-মুশফিকদের মতো অভিজ্ঞ ক্রিকেটাররা কীভাবে করেছেন, সে প্রশ্ন উঠছে। এমন কাণ্ডে বিরক্ত বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন।
গতকাল বুধবার (২০ মার্চ) তামিমের ফেসবুক লাইভ শেষ হওয়ার পর একটি সংবাদমাধ্যম এ বিষয়ে বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনের মন্তব্য জানতে চায়। দেশের ক্রিকেটের অভিভাবক সংস্থা যে বিষয়টি ভালোভাবে নেয়নি তার প্রমাণ মেলে পাপনের কথায়। বিরক্তি প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘এসব ফাজলামি, আমি কী বলব? ব্যাপারটা দেখছি আমি।’
এছাড়াও বিসিবির আরেক কর্মকতা জানিয়েছেন, ‘দেখতে হবে বিজ্ঞাপন ও কমার্শিয়াল ইস্যু গুলোয় আমাদের বিসিবির কোড অব কনডাক্টে (আচরণবিধি) কী আছে? আমরা দেখবো, পুরো ঘটনায় কোড অব কনডাক্ট ভঙ্গ হয়েছে কিনা? হলে নিয়মে যা আছে সে অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
বিসিবির গঠনতন্ত্রের অনুচ্ছেদ ২৪ (ক, খ) অনুযায়ী চুক্তিভুক্ত খেলোয়াড়, বোর্ড সদস্য, বেতনভুক্ত কেউ এমন কোনো আচরণ করতে পারবেন না, যা দেশ ও ক্রিকেটের সম্মান ক্ষুণ্ন করে। কিছুদিন আগে বিপিএল নিয়ে বেফাঁস মন্তব্য করায় কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহের সমালোচনা হয়েছিল। সমর্থকদের মতে, হাথুরুসিংহে যদি দেশের ক্রিকেটের অপমান করে থাকেন, তবে মুশফিক-মিরাজদের ফোনালাপ নাটকও তো একই দোষে দুষ্ট।