আগরতলায় বাংলাদেশের দূতাবাসে হামলার জন্য ভারতকে আনুষ্ঠানিকভাবে ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি বিন ইয়ামিন মোল্লা।
সোমবার (২ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় আগরতলায় ঘটনার প্রতিবাদে তাৎক্ষণিক বিক্ষোভ মিছিল ডাকে ছাত্র অধিকার পরিষদ। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিন থেকে মিছিল শুরু করে হলপাড়া হয়ে মহসিন হলের সামনে দিয়ে ঘুরে রাজু ভাস্কর্যের সামনে এসে সমাবেশ করেন তারা।
সমাবেশে বিন ইয়ামিন মোল্লা বলেন, এই উগ্র হিন্দুত্ববাদী বিজেপি সরকার একটি ঘৃণ্য ঘটনার জন্ম দিলো, একটি জঘন্য ইতিহাস তৈরি করলো। ভিয়েনা কনভেনশন অনুযায়ী কোনও দেশে দূতাবাসে হামলা তো দূরের কথা, কেউ সেখানে অনুমতি ছাড়া প্রবেশও করতে পারবে না। তারা সেই আন্তর্জাতিক নীতি লঙ্ঘন করেছে।
তিনি বলেন, আমরা ভারতীয় জনগণের কাছে জানতে চাই, আপনারা এই ঘটনা কীভাবে দেখছেন! ভারতীয় জনগণ যদি একে সমর্থন করেন তাহলে আমরাও সময়োচিত জবাব দেবো। তারা শুধু বাংলাদেশ নয়, বিভিন্ন দেশের ওপর হামলা করে তাদের জাতীয় নিরাপত্তা বিঘ্নিত করার চেষ্টা করছে। গত জুলাই আন্দোলনে যারা গুলি চালিয়েছে তারা হিন্দি ভাষায় কথা বলে। তাদের পাঠিয়েছে বিজেপি সরকার।
না খেয়ে মারা গেলেও ভারতের কাছে বাংলাদেশ দেওয়া হবে না বলে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ভারতের বিজেপি সরকার হুমকি দিচ্ছে, তারা আমদানি-রফতানি বন্ধ করে দেবে, ভিসা দেবে না, চিকিৎসা দেবে না। আমরা যদি না খেয়েও মরে যাই, তাহলেও বাংলাদেশ আপনাদের কাছে বিক্রি করবো না। তারা বাংলাদেশ নিয়ে খেললে আমরাও সেভেন সিস্টার নিয়ে খেলবো। যারা বাংলাদেশের অভ্যন্তরে হস্তক্ষেপ করে তাদের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক হতে পারে না।
ভারত সরকারকে উদ্দেশ্য করে এই ছাত্রনেতা আরও বলেন, ভারত কি ঐক্যবদ্ধ আছে? আপনাদের বৈষম্যমূলক আচরণের কারণে অনেকেই স্বাধীনতার আন্দোলন করছে। আমরা বাংলাদেশের হিন্দু- বৌদ্ধ-খ্রিস্টান-মুসলিম সবাই ঐক্যবদ্ধ। আপনারা আমাদের দেশে একটি ট্যাঙ্ক নিয়ে ঢুকলে সেভেন সিস্টার ছিন্নভিন্ন হয়ে যাবে। ভারতের এই ধরনের আচরণের জন্য ভারতকে বাংলাদেশের জনগণের কাছে ক্ষমা চাইতে হবে।
এ সময় আরও বক্তব্য রাখেন ঢাবি শিক্ষার্থী রাকিবুল ইসলাম, সাবেক ছাত্রনেতা আকবর হোসেনসহ অনেকে।