যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার গঙ্গানন্দপুর ইউনিয়নের এক ইউপি সদস্যের বসতবাড়িতে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। এতে ইউপি সদস্য ও তার পরিবারের শিশুসহ চারজন দগ্ধ হয়েছেন। বুধবার (১৪ আগস্ট) দিবাগত রাত ২টার দিকে গঙ্গানন্দপুর ইউনিয়নের কাগমারি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
আহতদের স্বজনরা অভিযোগ করেছেন, ঘরটিতে বাইরে থেকে দরজা আটকে দিয়ে জানালা দিয়ে অগ্নিসংযোগ করে দুর্বৃত্তরা।
দগ্ধরা হলেন- ইউপি সদস্য তালিমুল ইসলাম খাঁন (৩৮), তার স্ত্রী মুক্তা বেগম (৩২), ছেলে মেহেমিদ খাঁন (৩)। এ সময় তাদের বাঁচাতে গিয়ে আহত হয়েছেন ওবায়দুল খাঁন (৩৪)। তিনি তালিমুলের ছোট ভাই। বর্তমানে তারা সকলেই ঢাকায় শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
দগ্ধ ইউপি সদস্য তালিমুলের ছোট ভাই ওবায়দুল জানান, স্ত্রী ও শিশু সন্তানের সঙ্গে রাতে ঘরেই ঘুমিয়ে ছিলেন তালিমুল। রাত ২টার দিকে তাদের বসতঘরে হঠাৎ দাউ দাউ করে আগুন জ্বলতে দেখা যায়। ঘরের দরজা বাইরের থেকে আটকানো ছিল।
পরে ঘরের দরজা ভেঙে সবাইকে বের করা হয়। ওই পরিবারের সকলে অগ্নিদগ্ধ হয়। গুরুতর অবস্থায় তাদের উদ্ধার করে প্রথমে যশোর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখান থেকে ভোররাতে ঢাকায় রেফার্ড করেন কর্তব্যরত চিকিৎসক।
তিনি আরও জানান, ঘরের মধ্যে কোনো রাসায়নিক দ্রব্য দিয়ে আগুন জ্বালানো হয়েছিল। পুরো ঘরে আগুন উড়ছিল, সঙ্গে বিকট গন্ধে দম বন্ধ হয়ে আসছিল। আহত তিনজনের শরীরের দুই তৃতীয়াংশ পুড়ে গেছে। তাদের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক।
ওবায়দুলের স্ত্রী রুমা বেগম জানান, রাত ২টার দিকে তারা আগুন ও চিল্লাচিল্লি শুনতে পান। জানালা খোলা থাকায় সম্ভবত পেট্রোল দিয়ে আগুন জ্বালিয়েছে দুর্বৃত্তরা।
ঝিকরগাছা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামাল হোসেন ভূঁইয়া বলেন, কাগমারি গ্রামে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। অগ্নিদগ্ধ তিনজন ঢাকায় চিকিৎসাধীন আছেন। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। মামলার প্রক্রিয়া চলছে।