রাজধানীর শ্যামলীতে সড়কে দায়িত্ব পালনকালে ট্রাকচাপায় এক শিক্ষার্থী নিহতের খবর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। তাছাড়া রাস্তায় নিথর দেহ পড়ে থাকা একটি ছবিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।
তবে আজ রবিবার প্রথম সারির অনলাইন গণমাধ্যমে এ ধরনের কোনো সংবাদ প্রকাশ হয়নি। যদিও ‘শ্যামলীতে ট্রাকচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী নিহত’ হওয়ার খবর গণমাধ্যমে এসেছে। এ নিয়ে প্রকাশিত সংবাদ দেখুন এখানে, এখানে।
আজকের পত্রিকায় ‘শ্যামলীতে ট্রাকচাপায় যুবক নিহত’ শীর্ষক এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাজধানীর শ্যামলীতে ট্রাকচাপায় এক যুবক নিহত হয়েছেন। তিনি মোটরসাইকেলে রাইড শেয়ার করতেন। তার নাম মো. মোহন শেখ (২৫)।
প্রতিবেদনে বলা হয়, আজ রবিবার বেলা ১১টার দিকে শিশুমেলার বিপরীত সড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে। দুর্ঘটনার পর সড়কে থাকা শিক্ষার্থীরা ট্রাকটিকে আটক করে। তবে চালক ও তার সহকারী পালিয়ে যায়। নিহতের গ্রামের বাড়ি জামালপুর। ঢাকার শাহআলী এলাকায় থাকতেন।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, প্রত্যক্ষদর্শী মো. ইব্রাহীম হোসেইন বলেন, তার বাসা আদাবর রিংরোড এলাকায়। তিনি ১১টার দিকে শিশুমেলার বিপরীত পাশের ফুটপাত ধরে বাসায় যাচ্ছিলেন, তখন দেখতে পান, অজ্ঞাত ব্যক্তির ছিন্নভিন্ন লাশ সড়কে পড়ে আছে। এরপর তিনিসহ পাঁচজন লাশটি একটি অ্যাম্বুলেন্সে তুলে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে যান।
ইব্রাহীম বলেন, নিহত মোহন মোটরসাইকেল নিয়ে গাবতলীর দিকে যাচ্ছিলেন, এ সময় একটি ট্রাক তাকে চাপা দেয়। মাথার ওপর দিয়ে ট্রাকটি তুলে দেন চালক, এতে মোহনের মাথা থেঁতলে যায়। মোটরসাইকেলটি ২০ মিটার দূরে গিয়ে পড়ে। ট্রাকচালক পরে ট্রাকটি রেখে পালিয়ে যান। ট্রাকটিকে আটক করা হলেও কোনো পুলিশ না থাকায়, সেটিকে থানায় নেওয়া যায়নি।
নিহত মোহনকে হাসপাতালে নেওয়ার পর তার স্বজনদের খবর দেওয়া হয়। তার গ্রামের বাড়ি জামালপুর। বাবার নাম নাবু শেখ।
এদিকে বৈশাখী অনলাইন নামে একটি অনলাইন গণমাধ্যমে ‘সড়কে দায়িত্ব পালনকালে ট্রাক চাপায় শিক্ষার্থী নিহত’ শীর্ষক এক প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। তবে সেখানে নিহতের নাম-পরিচয় এবং বিস্তারিত কোনো তথ্য দেওয়া হয়নি। এছাড়া ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী কারও বক্তব্যও সেখানে যুক্ত করা হয়নি।
সুতরাং, শ্যামলীতে সড়কে দায়িত্ব পালনকালে ট্রাকচাপায় এক শিক্ষার্থী নিহত শীর্ষক দাবিতে প্রচারিত তথ্যটি সম্পূর্ণ মিথ্যা।