আজ দেশের চার জেলা ওপর দিয়ে ঝোড়ো হাওয়াসহ অস্থায়ীভাবে বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। মঙ্গলবার (১৮ জুন) ভোর ৫টা থেকে দুপুর একটা পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরগুলো জন্য দেয়া পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
আবহাওয়াবিদ মো. ওমর ফারুক স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, রংপুর, ময়মনসিংহ, কুমিল্লা ও সিলেট অঞ্চলের ওপর দিয়ে পশ্চিম বা উত্তরপশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫-৬০ কিলোমিটার বেগে দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়াসহ অস্থায়ীভাবে বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।
এসব এলাকার নৌবন্দরগুলোকে এক নম্বর পুন. এক নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। এদিকে সোমবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ থেকে উত্তরপশ্চিম বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত। মৌসুমী বায়ু বাংলাদেশের উপর মোটামুটি সক্রিয়। এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরের অন্যত্র মাঝারী অবস্থায় রয়েছে।
আরও পড়ুনঃ রাজধানীতে কোরবানি দিতে গিয়ে একদিনেই আহত অন্তত ৩২০ জন
এবার ঈদুল আজহা উপলক্ষে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় কোরবানি দিতে গিয়ে গরুর লাথি, শিংয়ের গুঁতা ও ছুরির আঘাতে এখন পর্যন্ত অন্তত ৩২০ জন আহত হয়েছেন বলে খবর পাওয়া গেছে। এর মধ্যে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ১৫৮ জন এবং জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানে (পঙ্গু হাসপাতাল) ১৬২ জন চিকিৎসা নিয়েছেন।
গতকাল সোমবার (১৭ জুন) সকাল থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত ঢামেক ও পঙ্গু হাসপাতালে মোট ৩২০ জনকে জরুরি বিভাগে চিকিৎসা দেওয়া হয়। কোরবানি করতে গিয়ে গরুর লাথি ও গুঁতা খেয়ে হাত ও পায়ের হাড় ভেঙে আহত হয়েছেন অনেকে। অনেকের আবার হাত-পায়ের রগ কেটে গেছে।
এদিকে ঢামেক জরুরি বিভাগের আবাসিক সার্জন (ভারপ্রাপ্ত) ডা. খন্দকার মোহাম্মদ মেহেদী আমান জানান, কোরবানি দিতে গিয়ে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে আমাদের এখানে আহত অবস্থায় এসে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত ১৫৮ জন চিকিৎসা নিয়েছে। আহতদের জরুরি বিভাগ থেকে সেলাই ও চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
পঙ্গু হাসপাতালের জরুরি বিভাগের আবাসিক চিকিৎসক ডা. মানস দাস জানান, সোমবার সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত পশু কোরবানি দিতে গিয়ে অন্তত ১৬২ জন আহত হয়ে হাসপাতালে এসেছেন। এই সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। এছাড়াও রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় পশু কোরবানি দিতে গিয়ে গরুর লাথি খেয়ে ও মাংস কাটার সময় আহত হয়ে বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন আরও অনেকে।
এর আগে ঢাকা মেডিকেল পুলিশ ক্যাম্পের সহকারী ইনচার্জ মো. মাসুদ জানান, সকাল সাড়ে ৭টা থেকে বিকেল ৪টার মধ্যে ১৫০ জন কোরবানির গরু জবাই ও গোশত কাটতে গিয়ে আহত হয়ে চিকিৎসা নেন। আহতদের সংখ্যা বাড়তে থাকবে। আহতদের মধ্যে এ পর্যন্ত মৌসুমী কসাইয়ের সংখ্যাই বেশি।