Friday, November 22, 2024

‘রেমাল’ আঘাত হানতে পারে যেসব এলাকায়

আরও পড়ুন

বঙ্গোসাগরে অবস্থান করা গভীর নিম্নচাপটি আজ বিকেল নাগাদ ঘূর্ণিঝড় ‘রেমালে’ রূপ নিতে পারে। গভীর নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিলে তা আজ দিবাগত ভোররাত থেকে সন্ধ্যা নাগাদ বাংলাদেশের উপকূল অতিক্রম করতে পারে জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মো. মহিববুর রহমান।

শনিবার সাংবাদিকদের প্রতিমন্ত্রী বলেন, ঘূর্ণিঝড়টি বাংলাদেশের উপকূল অতিক্রম করলে সাতক্ষীরা থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত পুরো এলাকা আক্রান্ত হতে পারে। প্লাবিত হতে পারে ব্যাপক এলাকা।

মহিববুর রহমান বলেন, ‘শনিবার দিবাগত রাত ১২টার পর থেকে সিরিয়াস পর্যায়ে যেতে পারে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রস্তুত রয়েছে চার হাজার উপকূলীয় আশ্রয়কেন্দ্র। ওয়ারলেসের মাধ্যমে সরাসরি ১৭৪টি মাঠ কার্যালয়কে সর্বোচ্চ প্রস্তুত থাকার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। ’ ফায়ার সার্ভিস, সেনাবাহিনী, কোস্টগার্ডও প্রস্তুত থাকবে বলে জানান প্রতিমন্ত্রী।

আরও পড়ুনঃ  ১৭৯ কিমি বেগে যেসব দেশে আঘাত হানতে পারে ঘূর্ণিঝড় ‘বেরিল’

মহিববুর রহমান বলেন, তথ্য বিনিময়ের লক্ষ্যে ২৪ ঘণ্টা ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের এনডিআরসিসি খোলা থাকবে।

এদিকে শনিবার আবহাওয়া অধিদফতরের ছয় নম্বর বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গভীর নিম্নচাপটি শনিবার সকাল ৯টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৫৬৫ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৪৯৫ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে, মোংলা সমুদ্র বন্দর থেকে ৫৪০ কিলোমিটার দক্ষিণে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৪৯০ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থান করছিল। এটি আরও উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর ও ঘণীভূত হতে পারে।

আরও পড়ুনঃ  ভয়াবহতার সব লক্ষণই রয়েছে ঘূর্ণিঝড় রেমালে

গভীর নিম্নচাপ কেন্দ্রের ৪৮ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৫০ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ৬০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। গভীর নিম্নচাপ কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর উত্তাল রয়েছে।

চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরসমূহকে ১ (এক) নম্বর দূরবর্তী সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।

উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থান করা মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারসমূহকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে। সেইসঙ্গে তাদের গভীর সাগরে বিচরণ না করতে বলা হয়েছে।

আপনার মতামত লিখুনঃ

সর্বশেষ সংবাদ