মালদ্বীপে চীনপন্থি প্রেসিডেন্ট মুইজ্জুর দলের ভূমিধস জয়
মালদ্বীপের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করেছে বর্তমান ক্ষমতাসীন দল পিপলস ন্যাশনাল কংগ্রেস (পিএনসি)।
প্রাথমিক ফলাফলে ৯৩টি আসনের মধ্যে ৭০টির বেশি পেয়েছে প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুইজ্জুর জোট। এই নির্বাচনের ফলাফলের ওপর তীক্ষ্ণ নজর ছিল এশিয়ার দুই পরাশক্তির দেশ চীন ও ভারতের।
দীর্ঘদিন ধরে দেশটির উপর ভারতের নিয়ন্ত্রণ অনেকটা একচ্ছত্র থাকলেও গত সেপ্টেম্বরে দেশটির প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে মোহাম্মদ মুইজ্জু নির্বাচিত হওয়ার পর থেকেই পাল্টে যায় সমীকরণ। রোববারের সংসদীয় নির্বাচন ঘিরে ছিল টান টান উত্তজেনা। তবে নির্বাচনের সকল জটিল সমীকরণ পাল্টে দিয়েই প্রেসিডেন্ট মুইজ্জুর দল পেয়ে যায় সফলতার দেখা।
স্থানীয় সময় রোববার সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত চলা ভোটগ্রহণ প্রক্রিয়ায় ৬০২টি কেন্দ্রে ৯৩টি আসনের জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন ৩৬৮ জন প্রার্থী। প্রাথমিক ফলাফল বলছে ৭৩ শতাংশ ভোটারের উপস্থিতিতে বিরোধী দলীয় জোট পেয়েছে মাত্র ১৫টি আসন। অপরদিকে ক্ষমতাসীন পিপিএম/পিএনসি জোট ৭০টির বেশি আসন পেয়ে দেশটির সংসদে সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করেছে।
মালদ্বীপ ভারত মহাসাগরে কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ অবস্থানে থাকায় দুই পরাশক্তি চীন ও ভারত প্রভাব বিস্তারের জন্য দীর্ঘদিন ধরেই চেষ্টা চালাচ্ছে। তবে দেশটির সঙ্গে ভারত চীনের সম্পর্ক কেমন হবে, অনেকটা এই নির্বাচনের ফলাফলই বলে দিয়েছে। প্রেসিডেন্ট মুইজ্জুর জোটের সংখ্যাগরিষ্ঠতায় আশার আলো দেখছেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা।
মুইজ্জু প্রেসিডেন্ট হলেও পার্লামেন্টে সংখ্যাগরিষ্ঠতা না থাকায় বিরোধী পক্ষের আইনপ্রণেতাদের আপত্তিতে তার মনোনীত তিনজনের মন্ত্রিসভায় যোগদান আটকে যায়। মুইজ্জু প্রস্তাবিত কয়েকটি বিল পাসেও আপত্তি জানান বিরোধীরা। এখন নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করায় মুইজ্জুর সরকারের জন্য সিদ্ধান্ত নেয়া সহজ হবে।