চলতি বছরের ফেব্রুয়ারির পর থেকে এটিই মার্কিন বাহিনীর বিরুদ্ধে প্রথম কোনও হামলা (প্রতীকী ছবি)
সিরিয়ায় মার্কিন সামরিক ঘাঁটিতে কমপক্ষে পাঁচটি রকেট নিক্ষেপ করা হয়েছে। ইরাক থেকে প্রতিবেশী দেশ সিরিয়ায় দফায় দফায় এসব রকেট নিক্ষেপ করা হয়।
চলতি বছরের ফেব্রুয়ারির পর থেকে এটিই মার্কিন বাহিনীর বিরুদ্ধে প্রথম কোনও হামলা। সোমবার (২২ এপ্রিল) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।
ইরাকের দুই নিরাপত্তা সূত্র রয়টার্সকে জানিয়েছে, রোববার ইরাকের জুম্মার শহর থেকে উত্তর-পূর্ব সিরিয়ার একটি মার্কিন সামরিক ঘাঁটির দিকে অন্তত পাঁচটি রকেট ছোড়া হয়েছে। ইরাকে ইরান-সমর্থিত গোষ্ঠীগুলো গত ফেব্রুয়ারির প্রথম দিকে মার্কিন সৈন্যদের বিরুদ্ধে তাদের আক্রমণ বন্ধ করার পর মার্কিন বাহিনীর বিরুদ্ধে এই প্রথম হামলা হলো।
রয়টার্স বলছে, ইরাক থেকে এই হামলা এমন এক সময়ে হলো যখন ইরাকের প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ শিয়া আল-সুদানী যুক্তরাষ্ট্র সফর থেকে একদিন আগেই ফিরে এসেছেন। যুক্তরাষ্ট্র সফরের সময় তিনি হোয়াইট হাউসে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে বৈঠকও করেছিলেন।
দুটি নিরাপত্তা সূত্র এবং একজন জ্যেষ্ঠ সেনা কর্মকর্তা বলেছেন, একটি ছোট ট্রাকের পেছনে স্থির করে লাগানো একটি রকেট লঞ্চার সিরিয়ার সীমান্তবর্তী শহর জুম্মারে পার্ক করা হয়েছে। সামরিক কর্মকর্তা বলেন, যুদ্ধবিমান যখন আকাশে ছিল ঠিক তখনই অনিক্ষিপ্ত রকেটের বিস্ফোরণে ট্রাকে আগুন ধরে যায়।
ঘটনার সংবেদনশীলতার কারণে নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন সামরিক কর্মকর্তা বলেন, ‘ট্রাকটিতে মার্কিন যুদ্ধবিমান বোমা হামলা করেছে কিনা তা আমরা তদন্ত না করে নিশ্চিত করতে পারব না।’
ইরাকি নিরাপত্তা বাহিনীকে ওই এলাকায় মোতায়েন করা হয়েছে এবং অন্য গাড়ি ব্যবহার করে এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যাওয়া অপরাধীদের খোঁজ শুরু করেছে বলে জুম্মার শহরে অবস্থানরত একজন নিরাপত্তা কর্মকর্তা বলেছেন।
নিরাপত্তা সংক্রান্ত তথ্য প্রচারের দায়িত্বে থাকা সরকারি সংস্থা ইরাকি সিকিউরিটি মেডিকা সেল এক বিবৃতিতে বলেছে, ইরাকি বাহিনী সিরিয়ার সীমান্তের কাছে অপরাধীদের লক্ষ্য করে ‘বিস্তৃত অনুসন্ধান ও অভিযান’ শুরু করেছে এবং অপরাধীদের বিচারের আওতায় আনার অঙ্গীকার করেছে।
একজন সেনা কর্মকর্তা বলেন, আরও তদন্তের জন্য ট্রাকটি জব্দ করা হয়েছে এবং প্রাথমিক তদন্তে দেখা যাচ্ছে, এটি ধ্বংস হয়েছে বিমান হামলায়। তিনি বলেন, ‘আমরা এই হামলার তথ্য শেয়ার করার জন্য ইরাকের জোট বাহিনীর সাথে যোগাযোগ করছি।’
উল্লেখ্য, গত শনিবার ভোরে ইরাকের একটি সামরিক ঘাঁটিতে বিশাল বিস্ফোরণে ইরান-সমর্থিত গোষ্ঠীগুলোর অন্তর্ভুক্ত ইরাকি নিরাপত্তা বাহিনীর একজন সদস্য নিহত হওয়ার একদিন পরে এই হামলা হলো।