Friday, November 22, 2024

ফেনীতে ছাত্রদলের দুই গ্রুপের সংঘর্ষ

আরও পড়ুন

ফেনীর সোনাগাজীতে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ছাত্রদলের দুই গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। বুধবার বিকালে সোনাগাজীর তাকিয়া রোডের মাথায় সংঘর্ষের সূত্রপাত ঘটে। এ ঘটনায় কতজন আহত হয়েছে তা নিশ্চিত করেনি কেউ। তবে প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, অন্তত ২০ জন আহত হয়েছে।

আহতদের মধ্যে কয়েকজনকে সোনাগাজী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হয়। গুরুতর আহত অবস্থায় তিনজনকে ফেনী সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়।

আহতদের মধ্যে কয়েকজন হলো— আব্দুল্লাহ আল নোমান, রাশেদুল ইসলাম, এনায়েতুল হক, আজিজুল ইসলাম, ওমর হোসাইন, কামরুল ইসলাম, আবু ইউসুফ রকি, নরুল কবির। বাকি সবার নাম জানা যায়নি।

আরও পড়ুনঃ  বিচারপতি মানিক— ‘আম-ছালা দুই-ই গেলো’

স্থানীয় ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, গত সোমবার সোনাগাজী পৌরশহরে কলেজ ছাত্রদলের সদস্য সচিব ওসমান গনি জিহাদ এবং উপজেলা ছাত্রদলের সদস্য সচিব সোহাগ নূরের অনুসারীদের সাথে কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায় জিহাদের অনুসারী ছাত্রদলকর্মী মিরাজ ও রায়হান নামে দুজন আহত হয়। সে ঘটনায় তারা সোনাগাজী মডেল থানায় মামলা করে। পরে সোনাগাজী জিরো পয়েন্টে প্রতিবাদ সমাবেশ করে জিহাদ গ্রুপ। আজ বিকালে সোনাগাজী পৌর শহরে মিছিল বের করে সোহাগ নূরের অনুসারীরা। মিছিলটি তাকিয়া রোডের মাথায় পৌঁছলে জিহাদের অনুসারীদের সাথে সংঘর্ষে শুরু হয়। এসময় দুই গ্রুপের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। পরে সেখানে যোগ দেয় যুবদল ও বিএনপির নেতা-কর্মীরা। পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

আরও পড়ুনঃ  আতঙ্ক পাল্টে উৎসবে ‘ডাকাত শঙ্কা’

এ বিষয়ে উপজেলা ছাত্রদলের সদস্য সচীব সোহাগ নূর বলেন, ‘উপজেলা ছাত্রদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মেজবাহ উদ্দিন পিয়াসকে মামলায় আসামি করার প্রতিবাদে বুধবার উপজেলা ছাত্রদল বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ মিছিল বের করে। মিছিলটি তাকিয়া বাজার রাস্তার মাথায় পৌঁছলে পেছনে অতর্কিত হামলা হয়। এতে ২০ জন নেতা-কর্মী আহত হয়।’

হামলার ঘটনায় উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক খুরশিদ আলমকে দায়ী করেন সোহাগ নূর।

তবে এ ব্যাপারে আহ্বায়ক খুরশিদ আলম বলেন, ‘ঘটনাটি ছাত্রদলের অভ্যন্তরীণ বিষয়। আমি ঢাকা সমরিতা হাসপাতালে আছি। কেন এমন ঘটনা ঘটল—কারণ জানার পর বিষয়টি নিয়ে সাংগঠনিকভাবে সমাধান করা হবে। যুবদলের সাথে এটির কোনো সম্পর্ক নেই।’

আরও পড়ুনঃ  চিরকুট লিখে মুয়াজ্জিনের আত্মহত্যা

ফেনীর পুলিশ সুপার হাবিবুর রহমান বলেন, ‘দুই গ্রুপের আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছে। কারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে তা তদন্ত সাপেক্ষে বলা যাবে। অভিযোগ পেলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

আপনার মতামত লিখুনঃ

সর্বশেষ সংবাদ