আদানি গোষ্ঠী সম্পর্কে হিন্ডেনবার্গ রিপোর্ট নিয়ে ভারতে ব্যাপক রাজনৈতিক সাড়া পড়ে গিয়েছিল। গত বছরের ২৪ জানুয়ারি হিন্ডেনবার্গ রিসার্চ আদানি এন্টারপ্রাইজের পরিকল্পিত শেয়ার বিক্রির আগে তাদেরকে নিয়ে তীব্র সমালোচনামূলক একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে।
যার জেরে গ্রুপের শেয়ারের মূল্য ৮৬ বিলিয়ন ডলার কমে যায়। যার প্রভাব পড়ে শেয়ার বাজারে। সেই সময়ে হিন্ডেনবার্গের প্রকাশিত রিপোর্ট কাঠগড়ায় তুলেছিল আদানি গোষ্ঠীকে। তাঁদের বিরুদ্ধে একাধিক গুরুতর অভিযোগ তোলা হয়েছিল।
হিন্ডেনবার্গের রিপোর্ট প্রকাশের পরেই বিশ্ব ধনকুবেরের তালিকায় দ্বিতীয় স্থান থেকে ৩৬ নম্বরে নেমে যান গৌতম আদানি। আদানিগোষ্ঠীর মূল্যায়নও দ্রুতগতিতে হ্রাস পেয়েছিল।
এই বছরের জুনে সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ বোর্ড অফ ইন্ডিয়া আদানি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে ভারতীয় নিয়ম লঙ্ঘনের অভিযোগে নোটিস জারি করে। হিন্ডেনবার্গ রিসার্চ প্রথমবারের মতো তাদের রিপোর্টে কোটাক মাহিন্দ্রা ব্যাঙ্ককে স্পষ্টভাবে চিহ্নিত করে।
যে কারণে কোটাক ব্যাঙ্কের শেয়ার দাম জুনের শুরুর দিকে সর্বনিম্ন স্তরে চলে গিয়েছিল। এর জেরে কংগ্রেস, তৃণমূল সহ সব বিরোধী দল লোকসভা ও রাজ্যসভায় বিজেপি সরকারকে চেপে ধরে।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিরুদ্ধে আদানি গোষ্ঠীকে সুবিধা দেওয়ার অভিযোগ তোলার জন্য কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধি সহ তামাম কংগ্রেস ও বিরোধী দলগুলিকে নজিরবিহীনভাবে সাসপেন্ড করা হয়।আবারো ‘ভারতে বড় কিছু হতে চলেছে’ বলে দাবি হিন্ডেনবার্গের।
শনিবার মার্কিন এই সংস্থা এক্স পোস্টে বলেছে, শীঘ্রই ভারতে বড় কিছু ঘটতে চলেছে। তবে কী ঘটনা ঘটতে চলেছে, তার কোনও ইঙ্গিত হিন্ডেনবার্গ দেয়নি।
তবে বিশেষজ্ঞ মহল মনে করছে, হিন্ডেনবার্গ রিসার্চ এবারও কোনও একটি ভারতীয় কোম্পানি সম্পর্কে তাদের সংগ্রহ করা তথ্য প্রকাশ করতে চলেছে।
সূত্র : livemint