পদত্যাগ করে ভারতে গিয়ে আশ্রয় নেওয়া বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিষয়ে আপডেট কিছু তথ্য জানিয়েছে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। তিনি ভারতে কতদিন থাকবেন, এখন কি করবেন, কোন দেশে আশ্রয় নেবেন- সে বিষয়ে এখনো ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাছে আপডেট কোনো তথ্য নেই।
শেখ হাসিনা কখন ভারত ত্যাগ করবেন- এ প্রশ্নের জবাবে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেছেন, আমাদের কাছে এখনো তার পরিকল্পনা সম্পর্কে কোনো আপডেট নেই।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ নিয়ে উদ্বেগ আছে। সেখানে এখনো পরিস্থিতি পরিবর্তিত হচ্ছে। ভারতের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের মানুষের স্বার্থই আমাদের মাথায় সর্বাগ্রে।
শেখ হাসিনাকে ভারতে রাজনৈতিক আশ্রয় দেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেন, আমাদের পররাষ্ট্রমন্ত্রী (এস জয়শঙ্কর) এরই মধ্যে শেখ হাসিনার ভারতে আসার অনুমোদনের বিষয়টি সংক্ষিপ্ত নোটিশে ব্যাখ্যা করেছেন। তার পরিকল্পনা সম্পর্কে আমাদের কাছে কোনো আপডেট নেই…। তার পরিকল্পনা সম্পর্কে মন্তব্য করা আমার পক্ষে উপযুক্ত হবে না।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য মিন্ট-এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সম্প্রতি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করার পর শেখ হাসিনা ভারতে পালিয়ে যান এবং ‘অল্প কিছুদিন’ দিল্লিতে অবস্থান করবেন বলে আশা করা হচ্ছে। তিনি যুক্তরাজ্যে আশ্রয় চেয়েছেন বলে জানা গেছে। তবে শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় বলেছেন, রাজনৈতিক আশ্রয় চাওয়ার খবর সঠিক নয়।
বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের অবস্থা প্রসঙ্গে
বাংলাদেশে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর হামলার এক প্রতিবেদন সম্পর্কে জানতে চাইলে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বলেন, আমরা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছি। সংখ্যালঘুদের সুরক্ষায় বিভিন্ন দল ও সংগঠনের পক্ষ থেকে বিভিন্ন উদ্যোগের খবর পাওয়া গেছে। তাদের পদক্ষেপকে স্বাগত জানাই। তবে আইন-শৃঙ্খলা দৃশ্যমান না হওয়া পর্যন্ত স্বাভাবিকভাবেই গভীরভাবে উদ্বিগ্ন থাকবো।
তিনি বলেন, প্রতিটি সরকারের দায়িত্ব তার সব নাগরিকের কল্যাণ নিশ্চিত করা। আমরা আশা করি, বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির দ্রুত পুনরুদ্ধার হবে- সামগ্রিকভাবে বাংলাদেশ এবং বৃহত্তর অঞ্চলের স্বার্থে।
তিনি বলেন, আমরা যোগাযোগ রাখছি বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষের সাথে। আমরা তাদের অনুরোধ করেছি, ভারতীয় নাগরিক এবং আমাদের হাইকমিশনের সুরক্ষা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য। বাংলাদেশের আইন-শৃঙ্খলা দ্রুত ফিরে আসবে এবং জীবনযাত্রা স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসবে বলে আমরা আশা করি।