Friday, November 22, 2024

বারবার বাবাকে খুঁজছে নিহত পুলিশ কনস্টেবলের ৬ বছরের মেয়ে স্নিগ্ধা

আরও পড়ুন

খুলনায় আন্দোলনকারীদের সঙ্গে সংঘর্ষে নিহত পুলিশ কনস্টেবল সুমন কুমার ঘরামীর পরিবারের সদস্যদের কান্না যেন থামছে না। স্বামীকে ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য আহাজারি করছেন নিহতের স্ত্রী মিতু বিশ্বাস। তাদের ৬ বছর বয়সী একমাত্র মেয়ে স্নিগ্ধা বারবার খুঁজছে বাবাকে।

শুক্রবার (২ আগস্ট) রাতে খুলনা সিটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিহত সুমনের স্ত্রী মিতু বিশ্বাস আহাজারি করছিলেন। পুলিশ কর্মকর্তা, আত্মীয়-স্বজন যাকেই পাচ্ছেন তাকে জড়িয়ে ধরে, পায়ে ধরে স্বামীকে ফিরিয়ে দেওয়ার আকুতি জানাচ্ছিলেন। তার আহাজারি দেখে চোখে পানি ধরে রাখতে পারছিল না আত্মীয়-স্বজন ও পুলিশ সদস্যরা।

আরও পড়ুনঃ  বাসা ছাড়তে বলায় ধর্ষণ মামলার অভিযোগ ভাড়াটিয়ার বিরুদ্ধে

নিহত সুমন কুমার ঘরামীর বাড়ি বাগেরহাট জেলার কচুয়া উপজেলায়। স্ত্রী ও মেয়েকে নিয়ে ভাড়া থাকতেন নগরীর বয়রা এলাকায়। তিনি খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের সোনাডাঙ্গা জোনের সহকারী কমিশনার সৌমেন বিশ্বাসের দেহরক্ষী ছিলেন। শুক্রবার সন্ধ্যায় খুলনার মোহাম্মদনগর এলাকায় আন্দোলনকারীদের পিটুনিতে নিহত হন তিনি।

সহকারী কমিশনার সৌমেন বিশ্বাস বলেন, সুমন এবং তিনি একসঙ্গে ছিলেন। সংঘর্ষের একপর্যায়ে তারা দলছুট হয়ে যান। প্রাণ বাঁচাতে তিনি ইউনিফর্ম খুলে প্রায় ৪ ঘণ্টা ড্রেনের মধ্যে ছিলেন। এর কোনো এক সময় আন্দোলনকারীরা কনস্টেবল সুমনকে নৃংশসভাবে পিটিয়ে হত্যা করে।

আরও পড়ুনঃ  যে কারণে যুক্তরাষ্ট্রে সর্ষের তেলে রান্না নিষিদ্ধ

রাতে খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মো. মোজাম্মেল হক ও খুলনা রেঞ্জ পুলিশের ডিআইজি মঈনুল হকসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা হাসপাতালে গিয়ে সান্ত্বনা দেন তাদেরকে।

খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার মো. মোজাম্মেল হক ঢাকা পোস্টকে বলেন, পুলিশ সর্বোচ্চ ধৈর্যের পরিচয় দিয়েছে। অথচ কনস্টেবল সুমনকে পিটিয়ে মেরে ফেলল। এছাড়া আমাদের ২০-২৫ জন গুরুতর আহত হয়েছেন।

আপনার মতামত লিখুনঃ

সর্বশেষ সংবাদ