কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনের সূত্র ধরে গত কয়েকদিন দেশজুড়ে যে নাশকতা চালানো হয়েছে, তার সঙ্গে প্রতিবাদী ছাত্র-জনতার কোনো সম্পর্ক নেই বলে জানিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা।
তারা বলছেন, শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের সুযোগে দুর্বৃত্তরা পরিকল্পিতভাবে নাশকতা করেছে। মঙ্গলবার (২৩ জুলাই) বিকেলে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে সংবাদ সম্মেলনে তারা এসব কথা বলেন।
সংবাদ সম্মেলনে ছিলেন কোটা সংস্কারের দাবিতে গড়ে ওঠা শিক্ষার্থী ও চাকরিপ্রত্যাশীদের প্ল্যাটফর্ম বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম, সারজিস আলম, হাসনাত আব্দুল্লাহ, মাহিন সরকার, মুমতাহীনা মাহজাবিন মোহনা, সহ-সমন্বয়ক হাসিব আল ইসলাম ও সরদার নাদিম মাহমুদ শুভ। আরও ছিলেন অন্যতম সমন্বয়ক আসিফ মাহমুদের বাবা বিল্লাল হোসাইন ও মা রোকসানা আক্তার।
আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক সারজিস আলম চার দফা দাবির কথা জানিয়ে বলেন, ইন্টারনেট সেবা সচল করতে হবে, কারফিউ তুলে নিতে হবে, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সঙ্গে সরকারের পক্ষ থেকে কথা বলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সরিয়ে নিয়ে আবাসিক হলগুলো খুলে দিয়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ফিরে যাওয়ার পরিবেশ তৈরি এবং আন্দোলনকারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, বৃহস্পতিবারের মধ্যে এসব দাবি মেনে নিলে সরকারের সঙ্গে কথা বলার পথ তৈরি হবে। দেশে শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ ফিরে আসবে কি না, আমরা ক্যাম্পাসে ফিরতে পারব কি না—সবকিছুই নির্ভর করছে সরকারের সিদ্ধান্তের ওপর।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে নাহিদ ইসলাম বলেন, ইন্টারনেট সেবা বন্ধ থাকায় অরাজক পরিস্থিতি তৈরি হয়। এই পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে পরিকল্পিতভাবে দুর্বৃত্তরা নাশকতা করে বিভিন্ন রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানে আগুন দেয়। জানমালের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়।
এর সঙ্গে প্রতিবাদী ছাত্র-জনতার কোনো সম্পর্ক নেই। এ ছাড়া কোটা ব্যবস্থার সুষ্ঠু বাস্তবায়ন, ব্যবস্থাপনা ও তদারকির জন্য একটি স্বাধীন কমিশন গঠন করতে হবে।