Friday, November 22, 2024

‘রাজাকারের সন্তান বলে স্লোগান দিতে লজ্জা করে না?’

আরও পড়ুন

মধ্যরাতে উত্তাল হয়ে উঠে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি)। স্লোগানে মুখরিত হয়ে উঠে ক্যাম্পাস। মিছিল নিয়ে রাস্তায় নেমে আসেন শিক্ষার্থীরা। স্লোগান দিতে থাকে ‘তুমি কে আমি কে, রাজাকার-রাজাকার’।

তাদের এমন বিক্ষোভের পরিপ্রেক্ষিতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট দিয়েছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক।

ফেসবুক পোস্টে তিনি বলেন, ‘যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ২৫ শে মার্চ ছাত্র শিক্ষকদেরকে গণহত্যা করেছে রাজাকাররা, সেই রাজাকারের পক্ষে রাজাকারের সন্তান বলে শ্লোগান দিতে লজ্জা করে না?’

রোববার (১৫ জুলাই) রাত সোয়া ১২টার দিকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের এক পোস্টে জুনায়েদ আহমেদ পলক এসব কথা লিখেন।

আরও পড়ুনঃ  ‘জান বাঁচাতে’ বাথরুমে, কালেমা পড়তে পড়তেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন শাহেদ

বিষয়টি ঘিরে আরও পোস্ট করেন পলক। তিনি লিখেন, ‘তুমি কে? আমি কে? বাঙালি, বাঙালি’, ‘তোমার আমার ঠিকানা পদ্মা-মেঘনা-যমুনা’ স্লোগান লিখে পোস্ট দেন তিনি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করেন এ সংক্রান্ত একটি পোস্টারও।

সবশেষ রাত সোয়া ১টায় ফেসবুক আরেকটি পোস্ট দেন প্রতিমন্ত্রী পলক। লিখেন, ‘একাত্তরের হাতিয়ার গর্জে উঠুক আরেকবার, তোরা যারা রাজাকার এই মুহূর্তে বাংলা ছাড়।’

তবে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক আসিফ মাহমুদ গভীর রাতে ফেসবুকে দেওয়া এক বার্তায় দাবি করেছেন, আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভে ‘তুমি নই, আমি নই রাজাকার রাজাকার’ স্লোগান দিয়েছিলেন। অর্থাৎ আমি কিংবা তুমি কেউই রাজাকার নই।

আরও পড়ুনঃ  ‘টাকা পাঠিয়ে তুমি আমার জান ভিক্ষা দাও মা, আর সহ্য করতে পারছি না’

রোববার বিকেলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চীন সফর পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে এক বক্তব্যের জেরে নতুন মাত্রা পেয়েছে চলমান এই আন্দোলন। যার প্রেক্ষিতে রাত ১১টার পর থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ সারাদেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়, ক্যাম্পাস এবং হলগুলোতে মিছিল করেন শিক্ষার্থীরা।

দেখা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের রোকেয়া হল, শামসুন্নাহার হল, কবি জসিম উদ্দিন হল, বঙ্গবন্ধু হল, জিয়াউর রহমান হলসহ বিজ্ঞান অনুষদের হলগুলোর কয়েক হাজার শিক্ষার্থী ক্যাম্পাসে বের হয়ে বিক্ষোভ মিছিল করেন।

এদিকে, মিছিলে যোগ দেওয়া ঠেকাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের হাজী মুহাম্মদ মুহসীন হল, মাস্টারদা সূর্যসেন হল, বিজয় একাত্তর হল, শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হল ও এফ রহমান হলের শিক্ষার্থীদেরকে আটকে রাখার চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। কিন্তু অন্যান্য হলের শিক্ষার্থীরা মিছিল নিয়ে এসে এই হলগুলোর মূল ফটকের তালা ভেঙে আগ্রহী শিক্ষার্থীদেরকে উদ্ধার করে মিছিলে যুক্ত করেন।

আপনার মতামত লিখুনঃ

সর্বশেষ সংবাদ