ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় প্রচার ও দাওয়াহ বিষয়ক সম্পাদক মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ূম বলেছেন, সরকার এখন ভারসাম্যহীন আচরণ করছে। ভারতের সাথে দেশের স্বার্থবিরোধী রেল ট্রানজিট দিয়ে আবারো তারা জনগণের মতের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে।
যেই ভারত প্রতিনিয়ত সীমান্তে বাংলাদেশের বেসামরিক লোককে পাখির মত গুলি করে হত্যা করে, তাদের স্বার্থ রক্ষা করে সরকার নতজানু পররাষ্ট্রনীতির প্রমাণ দিয়েছে। এই চুক্তি অবিলম্বে বাতিল করে ভারতের সাথে অন্যান্য অমীমাংসিত চুক্তিগুলোর সুরাহা করতে হবে। তিনি বলেন, সরকার আদালতের কাঁধে বন্দুক রেখে কোটাবিরোধী আন্দোলন দমাতে চায়। এর পূর্বেও তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা তুলে দিতেও আদালতকে সরকার ব্যবহার।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ূম আরো বলেন, বনখেকো মোশাররফের ছেলে পুলিশ কর্মকর্তা মাশরুফ মহানবী (স.)-কে নিয়ে কটূক্তি করে মুসলমানদের হৃদয়কে রক্তাক্ত করেছে। নিজে মুসলিম দাবি করে ইসলামের নবীকে নিয়ে তার ধৃষ্টতাপূর্ণ বক্তব্যের কারণে তাকে বহিষ্কারপূর্বক দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে।
আজ শুক্রবার বাদ জুমা বাইতুল মোকাররমের উত্তর গেটে পুলিশ কর্মকর্তা মাশরুফ কর্তৃক মহানবী সা. কে কটূক্তির প্রতিবাদ, ভারতের সাথে দেশবিরোধী সকল চুক্তি বাতিল, কোটা ব্যবস্থা সংস্কার, নৈতিকতাবিরোধী শিক্ষা কারিকুলাম সংশোধন ও দুর্নীতিবাজদের গ্রেপ্তারের দাবিতে ইসলামী যুব আন্দোলন বাংলাদেশ ঢাকা মহানগরীর উদ্যোগে বিক্ষোভ মিছিল উত্তর সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ইসলামী যুব আন্দোলন বাংলাদেশ ঢাকা মহানগর দক্ষিণ সভাপতি আল আমীন সোহাগের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে প্রধান বক্তা ছিলেন, সংগঠনের সেক্রেটারি জেনারেল মুফতী মানসুর আহমদ সাকী। বক্তব্য রাখেন সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা ইলিয়াস হাসান, এম এ হাসিব গোলদার, এইচ এম আবু বকর সিদ্দীক, আলহাজ শফিকুল ইসলাম, মুফতী হোসাইন মুহাম্মাদ কাওছার বাঙালি, মুফতী হাফিজুল হক ফাইয়াজ প্রমুখ।
প্রচণ্ড বৈরী আবহাওয়ার মধ্যেও শত শত মানুষ মিছিলে অংশ নিয়ে সরকারের বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে নানা স্লোগান দিয়ে রাজপথ মুখরিত করে। মিছিল বায়তুল মোকাররম উত্তর গেট থেকে পল্টন মোড় হয়ে পুনরায় বায়তুল মোকাররম উত্তর গেট সংলগ্ন ফটো জার্নালিস্ট প্রাঙ্গণে এসে সমাপ্ত হয়।
প্রধান বক্তার বক্তব্যে মুফতী মানসুর আহমদ সাকী বলেন, দেশ আজ ভাল নেই। রাজধানীসহ সকল শহরে বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতা, দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির সাথে সাথে কোটা প্রথা ফের চালু করে দেশের মেধা ধ্বংসের পাঁয়তারা শুরু করেছে সরকার। কোটা প্রথার যৌক্তিক সংস্কার করে সকল কোটা সর্বোচ্চ ৫% থেকে ১০% এর মধ্যে আনতে হবে। আমরা কোটাবিরোধী আন্দোলনে সমর্থন প্রকাশ করছি।
প্রধান বক্তা আরো বলেন, সরকারের বিভিন্ন সেক্টরে দুর্নীতিবাজরা দেশটাকে লুটেপুটে খাচ্ছে। পিএসসির প্রশ্নফাঁসকারী সিন্ডিকেট এবং অনৈতিকভাবে ক্যাডার, নন ক্যাডার হয়ে চাকুরি পেয়েছে, তাদেরকে বহিষ্কার করে শাস্তির আওতায় আনতে হবে। বক্তব্যে তিনি ভারতের সাথে রেল ট্রানজিট বাতিল ও মহানবী সা. কে কটূক্তিকারী পুলিশ কর্মকর্তা মাশরুফের শাস্তিও দাবি করেন।