কক্সবাজারে টেকনাফ উপজেলায় নাফনদীতে মাছ শিকারে গিয়ে নিখোঁজ হওয়ার দু-দিন পর রোহিঙ্গা বাবা-ছেলের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বুধবার (৩ জুলাই) বিকেলে টেকনাফ উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের নাফনদীর দমদমিয়া কেয়ারি জাহাজ ঘাট এলাকা থেকে তাদের ভাসমান মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করেন নৌ-পুলিশের টেকনাফ স্টেশনের ইনচার্জ পরিদর্শক তপন কুমার বিশ্বাস।
মৃতরা হলেন- টেকনাফ উপজেলার জাদিমুরা ২৭ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বি-৭ ব্লকের মৃত ছালামত উল্লাহর ছেলে নুর উল্লাহ (৩৭) এবং নুর উল্লাহর ছেলে রুহুল আমিন (১৩)। গত সোমবার প্রতিদিনের মত মাছ শিকারে গিয়ে নিখোঁজ হয়েছিলেন তারা।
মৃতদের স্বজন ও স্থানীয়দের বরাতে পুলিশ পরিদর্শক তপন বলেন, নুর উল্লাহ ও তার ছেলে রুহুল আমিন নাফনদীতে নিয়মিত মাছ ধরতেন। নদীর তীর ঘেঁষে তারা টানা জাল দিয়ে মাছ ধরতেন। সোমবার সকালে বাবা-ছেলে মিলে প্রতিদিনের মত মাছ ধরতে যান। একপর্যায়ে স্রোতের টানে ছেলে রুহুল আমিন ভেসে যায়।
এসময় ছেলেকে উদ্ধার করতে গিয়ে বাবাও ভেসে গিয়ে নিখোঁজ হন। এদিকে সন্ধ্যার পরও বাবা-ছেলে বাড়ি না ফেরায় স্বজনরা বিভিন্ন স্থানে খোঁজ করতে শুরু করেন। কিন্তু তাদের সন্ধান পাননি তারা। পরে মঙ্গলবার সকালে স্বজনরা নৌ-পুলিশ বিষয়টি জানান।
তপন জানান, বুধবার বিকেলে নদীর দমদমিয়া কেয়ারি জাহাজ ঘাটে দুজনের মরদেহ ভাসতে দেখে স্থানীয়রা নৌ-পুলিশে খবর দেন। পরে পুলিশ স্থানীয়দের সহায়তায় বাবা-ছেলের মরদেহ উদ্ধার করে।