চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে মো. রাসেল (১৯) নামের এক দোকান কর্মচারীর মৃত্যু হয়েছে। তার স্ত্রী পলি আক্তার ৬ মাসের অন্ত:সত্ত্বা। অনাগত সন্তানের মুখ দেখার আগেই পরপারে পারি জমালেন রাসেল।
শনিবার (১৫ জুন) সকালে মিরসরাই পৌর সদরের হাজী সোলেমান মার্কেটের জমজম সুইটস শোরুমে এই ঘটনা ঘটে।
নিহত রাসেল মিরসরাই উপজেলার খৈয়াছড়া ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের মধ্যম আমবাড়িয়া এলাকার বেলাল মিয়ার পুত্র। সে জমজম সুইটসের মিরসরাই শাখার কর্মচারী হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
রাসেলের চাচা মীর হোসেন বলেন, আট মাস আগে রাসেলের সাথে হাদিফকিরহাট এলাকার পলি আক্তারের পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। তার স্ত্রী ৬ মাসের অন্ত:সত্ত্বা। অনাগত সন্তানের মুখ দেখার আগেই শনিবার সকালে দোকানে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে নিহত হন ভাতিজা। সন্তানের জন্মের আগে তার এমন মৃত্যু মেনে নিতে খুব কষ্ট হচ্ছে। রাসেলের পরিবারে ঈদের আনন্দের বদলে বইছে শোকের মাতম।
একই মার্কেটে অবস্থিত সমকাল হেলথ কেয়ারের পরিচালক শেখ ফরিদ জানান, প্রতিদিনের ন্যায় আজও সকালে দোকানে আসেন মো. রাসেল। দোকানের মালামাল সাজাতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে গুরুতর আহত হয়। পরবর্তীতে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। অল্প বয়সে রাসেল পরিবারের হাল ধরেছেন।
এ বিষয়ে জমজম সুইটসের মালিক মো. আজমল হোসেনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার দোকানের কর্মচারী রাসেল বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা গেছেন। পরপরই মোবাইলের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন মালিক আজমল।
মিরসরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক মাহমুদা আক্তার বলেন, বিদ্যুৎস্পৃষ্ট রাসেল হাসপাতালে আসার আগেই তার মৃত্যু হয়।
মিরসরাই থানার উিডটি অফিসার আজমির এলাহী বলেন, বিদ্যুৎস্পৃষ্টের ঘটনায় থানায় কেউ অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।