সোশ্যাল মিডিয়ায় আলোচিত ব্যক্তি লায়লা আখতার ফরহাদের দায়ের করা ধর্ষণ মামলায় বর্তমানে গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে আছেন আলোচিত ও সমালোচিত টিকটকার প্রিন্স মামুন ওরফে আব্দুল্লাহ আল মামুন। এখন লায়লা ও প্রিন্স মামুন দুজনই রয়েছেন চর্চায়।
টিকটকার প্রিন্স মামুন কারাগারে যাওয়ার আগে এক সংবাদ সম্মেলনে দাবি করেন―লায়লার কাছে তিনি ব্ল্যাকমেইলের শিকার। তার প্রতারণার ফাঁদ থেকে বের হওয়ার জন্য চেষ্টা করলেও বিভিন্ন কারণে পেরে উঠতে পারছেন না।
তিনি আরও বলেন, মুক্তি পেতে চাইলে তিনটি শর্ত দেন লায়লা। প্রথম হচ্ছে তার জীবন থেকে চলে যেতে চাইলে তাকে ৯০ লাখ টাকা দিতে হবে। দ্বিতীয়, টাকা দিতে না পারলে আবারও সম্পর্কে ফিরতে হবে। আর এর কোনোটিই সম্ভব না হলে তৃতীয় শর্ত অনুযায়ী কারাগারে থাকতে হবে।
শর্ত তিনটির মধ্যে তার জবাব ছিল, তৃতীয় শর্ত মেনে নিয়ে কারাগারেই থাকবেন টিকটকার মামুন। আর তার এই বক্তব্য প্রসঙ্গে সম্প্রতি লায়লার কাছে জানতে চাওয়া হলে একটি গণমাধ্যমকে তিনি জানান, মামুনের এসব কথা মোটেও সত্য নয়। আর এ সংক্রান্ত ব্যাপারে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি মেসেজের স্ক্রিনশটও শেয়ার করেছেন লায়লা।
তার শেয়ার করা স্ক্রিনশটে দেখা যায়, গত ২৪ মে মামুন একটি লাল রঙের গাড়ি উপহার চান লায়লার কাছে। হোয়াটসঅ্যাপে মামুনের গাড়ি উপহার চাওয়ার দু’দিন পর ২৭ মে তাকে তিনটি শর্ত দেন লায়লা। তাতে শারীরিক নির্যাতনের জন্য মামুনের কাছে ৯০ লাখ টাকা দাবি করা হয়।
কারণ হিসেবে লায়লা বলেন, মামুন আমাকে বিভিন্নভাবে মামলা তোলার জন্য চাপ দিচ্ছিল। ওর প্রতি ভালোবাসা থেকে আমিও মামলা তুলে নেয়ার কথা ভাবছিলাম। সম্পর্কটা আমি ধরে রাখতে চেয়েছিলাম। কিন্তু ওর মা জানায়, আমি কোনোদিন ওদের বাসায় যেতে পারব না।
লায়লা আরও বলেন, আবার মামুনের বাবা ফোন দিয়ে বলেন, মামুনকে তুমি গাড়িটা উপহার দিয়ে দাও। দামি একটা উপহার পেলে রাগ কমে যাবে ওর। আর আমিও এ পরিস্থিতিতে মামলাটি আর তুলিনি। ওর বিরুদ্ধে আরও একটি মামলা করি। এ কারণেই মামলা করি, যেন আমার মতো অন্য কেউ আর এভাবে প্রতারিত না হয়। আবার এতে ওর স্বভাবেও পরিবর্তন আসবে বলে মনে করি। কেননা, মামুনকে কখনো পরিবার থেকে শাসন করা হয়নি।