Friday, November 22, 2024

যশোরের অভয়নগরে পুলিশ হেফাজতে নারীর মৃত্যু নিয়ে যা জানা গেলো

আরও পড়ুন

বাংলাদেশের যশোরের অভয়নগর উপজেলায় পুলিশ হেফাজতে এক নারীর মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। আফরোজা বেগম নামে ওই নারীকে শনিবার রাতে অভিযান চালিয়ে পুলিশ গ্রেপ্তার করে। এ সময় তার কাছে ৩০টি ইয়াবা পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

ওইদিন গ্রেপ্তারের পর অভয়নগর থানা হাজতে নিয়ে যাওয়া হয় তাকে। রোববার সকালে থানা হাজতে থাকা অবস্থায় অসুস্থ হয়ে পড়েন আফরোজা বেগম। চিকিৎসার জন্য তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। প্রাথমিক চিকিৎসার পর আবার থানায় নিয়ে যাওয়া হয়।

এরপর আবার অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হয়। সেখানকার চিকিৎসকরা তখন উন্নত চিকিৎসার জন্য যশোর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে নেয়ার পরামর্শ দেন।

আরও পড়ুনঃ  অফিসে ল্যাপটপে কাজ করতে করতেই নিভে গেল তরতাজা প্রাণ

এটি যশোর সদর হাসপাতাল নামে পরিচিত। হাসপাতালে নেয়ার পর রোববার সকাল সাড়ে এগারটার দিকে জরুরি বিভাগের চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

যশোর সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. হারুন অর রশিদ বিবিসি বাংলাকে বলেন, “রোগী অসুস্থ হলে প্রথমে অভয়নগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। সেখানে ডাক্তাররা দেখে তার প্রেশার ২২০/১১০। পরে তারা রেফার করলে পুলিশ আমাদের এখানে জরুরি বিভাগে নিয়ে আসে। এখানে জরুরি বিভাগের ডাক্তাররা জানান সাডেন কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হওয়ার কারণে রোগী মারা গেছেন।”

মৃত আফরোজা বেগমের পরিবারের পক্ষ থেকে এ ঘটনায় আদালতে মামলা দায়ের করার প্রস্তুতি চলছে বলে জানানো হয়েছে।

আরও পড়ুনঃ  ২১৮তম হয়েও পছন্দের বিষয় পাননি, কোটায় চান্স ৩৫শ সিরিয়ালধারীদের

ঘটনার আদ্যোপান্ত
অভয়নগর উপজেলার নওয়াপাড়া গ্রামের আবদুল জলিল মোল্লার স্ত্রী আফরোজা বেগম।

ঘটনার বিবরণ দিতে গিয়ে আফরোজা বেগমের ছোট ছেলে সাব্বির মোল্লা অভিযোগ করেন শনিবার রাতে সাড়ে এগারটার পরে পুলিশ বাড়িতে এসে তল্লাশি চালিয়ে তার মায়ের বিরুদ্ধে মামলা করার হুমকি দেয়।

বিবিসি বাংলাকে তিনি বলেন, “সাড়ে এগারটার দিকে ভাত খাওয়ার জন্য আম্মু পানি আনতে যাচ্ছিল। ওই সময় আব্বুকে খুঁজতে এক লোক আসে। আম্মু বলে আব্বু ইজি-বাইক স্ট্যান্ডে। পরে আব্বুকে এনে কথা বলার পর আব্বু আবার চলে যায়। সেই লোক আবার আসে। আম্মু পানি আনতে গেছিল। ওখান থেকে আসার পরে ওইসময় পাঁচ ছয়জন পুলিশ ও তাদের সোর্সসহ দশজনের মতো ঘরে ঢুকলো।”

আরও পড়ুনঃ  ব্যারিকেড ভেঙে সুপ্রিম কোর্ট চত্বরে ঢুকলেন শিক্ষার্থীরা

এ সময় উপ-পরিদর্শক সাইফুল ইসলামের নেতৃত্বে সহকারী উপ-পরিদর্শক সিলন আলী, এএসআই শামসুল হক ও নারী কনস্টেবল রাবেয়া খানম অভিযানে তল্লাশি চালান।

মি. মোল্লা বলেন, “আব্বুর পরিচিত যে লোক আসছিল তার পকেট থেকে কী জানি পায়। পরে আম্মুকে সার্চ করে, বাড়িতেও করে। বলে তোমার কাছে কী আছে দাও। যার পকেট থেকে কিছু পায় তাকে ছেড়ে দেয়। পরে আম্মুকে বলে কিছু পাইলেও আজকে মামলা দিবো, না পেলেও মামলা দিবো। পাঁচজন পুলিশ ছিল তারা। তাকে খালি চড় থাপ্পড় মারছিল। আম্মু বারবারই বলছিল আমার কাছে কিছু নাই।”

আপনার মতামত লিখুনঃ

সর্বশেষ সংবাদ