ঢাকার প্রেসিডেন্সি ইউনিভার্সিটির ইংরেজি বিভাগের ছাত্র ওমর ফারুক সৌরভের খণ্ডিত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। চাচাতো বোনকে প্রেম করে বিয়েকে কেন্দ্র করে বিরোধের জেরে তাকে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ তার পরিবারের।
রবিবার (২ জুন) ময়মনসিংহ-টাঙ্গাইল মহাসড়কের সদর উপজেলার মনতলা ব্রিজের নিচ থেকে উদ্ধার হয় ব্রিফকেস বোঝাই সৌরভের চার টুকরো মরদেহ। এ খবরে ঘটনাস্থলে ভিড় করেন হাজারো মানুষ। ঘটনাটি নিয়ে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
জানা গেছে, সরকারি চাকরিজীবী বাবা ইউসুফ আলী, মা মাহমুদা আক্তার ও বোনের সঙ্গে ঢাকার মতিঝিলে থাকতেন নিহত সৌরভ। পরিবার জানায়, চাচাতো বোনের সঙ্গে প্রথমে প্রেম পরে তাকে বিয়ে করেছিল সে। এই বিয়ে কিছুতেই মেনে নেননি চাচা ইলিয়াস। ক্ষুব্ধ হয়ে সৌরভকে ময়মনসিংহের নিজ বাসায় ডেকে এনে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় অভিযুক্তদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি নিহতের পরিবারের।
পরিবারের সদস্যরা জানান, গত ১২ মে ঢাকার একটি বাসায় চাচাতো বোন ইসরাত জাহান ইভাকে বিয়ে করেন সৌরভ। এরপর ইভা ময়মনসিংহের বাসায় চলে আসে। এর চার দিন পর তাকে কানাডা পাঠিয়ে দেয় পরিবার। বিয়েকে কেন্দ্র করেই দুই পরিবারে মাঝে চলছিল বিরোধ।
সৌরভের বন্ধুরা জানান, শনিবার দুপুরে ময়মনসিংহের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়ে সৌরভ। রবিবার মরদেহ উদ্ধারের খবর পেয়ে থানায় ছুটে আসেন বোন ও মামা। নিহত সৌরভ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ‘ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভর্সিটি অব বিজনেস এগ্রিকালচার অ্যান্ড টেকনোলজি’তে (আইইউবিএটি) এক বছর পড়াশোনা করেন। এরপর তিনি ভর্তি হন হন রাজধানীর প্রেসিডেন্সি ইউনিভার্সিটিতে। সেখানে ইংরেজি বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র ছিলেন।
নিহতের বাবা ইউসুফ আলী বলেন, ‘শনিবার দুপুরে একটা ব্যাগ নিয়ে ঢাকার বাসা থেকে বের হয়ে যায় সৌরভ। আমরা জানতাম না সে ময়মনসিংহে আসবে।’
মা মাহমুদা আক্তার বলেন, ‘সৌরভ ও ইভার বিয়ে তার চাচা মেনে নিতে পারেনি। ক্ষুব্ধ হয়ে আমার ছেলেকে হত্যা করেছে। আমি তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।’
ময়মনসিংহ সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শাহিনুল ইসলাম ফকির জানান, এ ঘটনায় তদন্ত চলছে। শিগগিরই রহস্য উদ্ঘাটনের পাশাপাশি অপরাধীকে শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনা হবে।