আজ ভোর ৫টা থেকে দুপুর ১টার মধ্যে দেশের দুই অঞ্চলের ওপর দিয়ে সর্বোচ্চ ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দরসমূহে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৩০ মে) এক বিজ্ঞপ্তিতে আবহাওয়া অধিদপ্তর এ তথ্য জানিয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ময়মনসিংহ ও সিলেট অঞ্চল সমূহের ওপর দিয়ে পশ্চিম বা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দর সমূহকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
আরও পড়ুনঃ ঘূর্ণিঝড় রিমালের আঘাতে ৭ জেলায় ১৬ জনের মৃত্যু
ঘূর্ণিঝড় রিমালের আঘাতে দেশের উপকূলীয় সাত জেলায় মোট ১৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। নিহতদের মধ্যে খুলনা, সাতক্ষীরা ও চট্টগ্রামে ১ জন করে, বরিশালে ৩ জন, পটুয়াখালীতে ৩ জন, পিরোজপুরে ৪ জন, ভোলায় ৩ জন রয়েছেন।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের ন্যাশনাল ডিজাস্টার রেসপন্স কো-অর্ডিনেশন (এনডিআরসিসি) আজ ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে উপকূলীয় জেলাসমূহের ক্ষয়ক্ষতির বিষয়ে দেওয়া তথ্যে এ কথা জানায়।
এতে আরও জানানো হয়, রিমালের আঘাতে দেশের ১৯টি জেলায় দূর্গত মানুষের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪৫ লাখ ৯৯ হাজার ৪৬৪ জন। তাদের মধ্যে রয়েছে গোপালগঞ্জে ১১ লাখ এবং পিরোজপুরে ৯ লাখ মানুষ। এছাড়াও রিমালের আঘাতে ৪০ হাজার ৩৩৮টি ঘর-বাড়ী সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস হয়েছে এবং আংশিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে আরো ১ লাখ ৩৩ হাজার ৫২৮টি ঘর-বাড়ী।
রিমালের আঘাতে ক্ষতিগ্রস্থ ১৯টি জেলার মধ্যে রয়েছে খুলনা, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, ঝালকাঠি, বরিশাল, পটুয়াখালী, পিরোজপুর, বরগুনা, ভোলা, ফেনী, কক্সবাজার, চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, লক্ষীপুর, চাঁদপুর, নড়াইল, গোপালগঞ্জ, যশোর ও শরীয়তপুর।
জেলাগুলোর মধ্যে খুলনার ১০, সাতক্ষীরার ৭, বাগেরহাটের ৯, ঝালকাঠির ৪, বরিশালের ১০, পটুয়াখালীর ৮, পিরোজপুরের ৭, বরগুনার ৬, ভোলার ৭, ফেনীর ১, কক্সবাজারের ৯, চট্টগ্রামের ১৫, নোয়াখালীর ৫, লক্ষীপুরের ৫, নড়াইলের ১, গোপালগঞ্জের ৫, যশোরের ৪ এবং শরীয়তপুরের ৬টি উপজেলাসহ মোট ১১৯টি উপজেলা ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে।