Thursday, November 21, 2024

মধ্যরাতে জবির মসজিদে ছাত্রী, ইমামকে অব্যাহতি

আরও পড়ুন

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) কেন্দ্রীয় মসজিদে গত ৬ মে মধ্যরাতে মেয়েদের নামাজ পড়ার কক্ষে ঘুমন্ত অবস্থায় এক নারী শিক্ষার্থীকে পাওয়ার ঘটনায় দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগ এনে মসজিদের ইমাম ছালাহ্ উদ্দীনকে তার দায়িত্ব পালন (নামাজ পড়ানো) থেকে সাময়িক অব্যাহতি দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

সোমবার (২৭ মে) এই অব্যাহতির আদেশ দেওয়া হয়। পরে এ ঘটনা তদন্তে পাঁচ সদস্যের একটি কমিটিও গঠন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর হোসেন।

প্রক্টর ড. জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ‘গত ৬ মে রাত সাড়ে ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক নারী শিক্ষার্থীকে কেন্দ্রীয় মসজিদে ঘুমন্ত অবস্থায় পাওয়ার খবর পেলে সঙ্গে সঙ্গে একজন সহকারী প্রক্টরকে ঘটনাস্থলে পাঠাই। সহকারী প্রক্টর ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর আগেই ইমাম মেয়েটিকে দ্রুত হলে পাঠিয়ে দেয়। মেয়েটি রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী। যে কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনাতো ঘটতে পারতো। এখানে ইমামের দায়িত্বে অবহেলা ছিল, তাই তাঁকে নামাজ পড়ানো থেকে সাময়িকভাবে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে অন্য কোনো ইস্যু নেই। এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে পাঁচ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটিও গঠন করা হয়েছে। তদন্তে মূল ঘটনা বেরিয়ে আসবে।

আরও পড়ুনঃ  স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাকে হুঁশিয়ারি সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহর

শিক্ষার্থীর সাথে ইমামের কিছু হয়েছিল কি না তার পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ পেয়েছেন কি না এ প্রশ্ন করা হলে প্রক্টর বলেন, এ রকম মিনিংফুল কিছুই না, শুধু তার দায়িত্বে অবহেলার জন্য তাকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। মেয়েটি জেনুইনলি নামাজ পড়ার জন্যই গিয়েছিল, হয়তো মেয়েটি অসুস্থ অনুভব করায় সেখানে ঘুমিয়ে পড়েছিল এত রাত পর্যন্ত একজন মেয়ে শিক্ষার্থী মসজিদে ঘুমাবে বিষয়টি তার খেয়াল রাখা উচিত ছিল।

তবে সাধারণ শিক্ষার্থীদের মতামত হলো নাটক সাজিয়ে ইমামকে ফাঁসানো হয়েছে তিনি অনেক পরহেজগার মানুষ। ফাইরুজ সাদাফ অবন্তীর আত্মহত্যার পর গত ১৭ মার্চ দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠানে মসজিদের ভিতর জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য অধ্যাপক ড.সাদেকা হালিম মসজিদে প্রবেশ করেছিলেন ও সবার সামনে বক্তব্যও দিয়েছিলেন, বিষয়টি দেশব্যাপী সমালোচনার জন্ম দিয়েছিল।

আরও পড়ুনঃ  আমাদের সব ধরনের ব্যবস্থা আছে, ধৈর্যের পরীক্ষা দিচ্ছি: ডিবির হারুন

নারী পুরুষ এক সাথে মসজিদে প্রবেশের ব্যাপারে ইমাম ওইসময় বলেছিলেন “আমি সকাল থেকেই উপাচার্য জন্য মহিলাদের নামাজের স্থানে নিজে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করে বসার জায়গা করেছিলাম, কিন্তু প্রক্টর এসে বলেছেন ছোট জায়গায় উপাচার্য কেন বসবে? উপাচার্য মূল মসজিদেই বসবেন, আমি বাধ্য হয়েই সেটা মেনে নিয়েছি। মসজিদের ভিতর নারী পুরুষের এক সাথে অবস্থান সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।”

বর্তমান নারীঘটিত দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগের ঘটনার বিষয়ে জানতে মসজিদের ইমাম ছালাহ্ উদ্দীনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে এই বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে চান না বলে প্রতিবেদককে অনুরোধ করেন তিনি।

আপনার মতামত লিখুনঃ

সর্বশেষ সংবাদ