কুষ্টিয়ায় প্রকাশ্যে ধূমপানে বাধা দেয়ায় নিজ বাড়িতে হামলার শিকার হয়েছেন এক কলেজ শিক্ষক। অভিযোগে হয়েছে মামলা। যদিও অন্যপক্ষের দাবি, ধূমপান নয় মোবাইল হারানোর ঘটনায় ওই শিক্ষক কয়েকজনকে মারধরের পর মামলা দেন। এ ঘটনায় পুরো এলাকায় ছড়িয়েছে উত্তেজনা।
গত ১৯ এপ্রিল কুষ্টিয়া শহরে হামলা হয় কলেজ শিক্ষক শামিম হোসেনের বাড়িতে। শামিম ও তার পরিবারের অভিযোগ, এলাকার কয়েকজন যুবককে ধূমপানে বাধা দেয়ার কারণেই এই হামলা করা হয়েছে।
স্থানীয়রা বলছে, ঘটনার সূত্রপাত রমজানের শেষভাগে। শিক্ষক শামীম হোসেনের মোবাইল চুরি হয় মসজিদ থেকে। এরপর থেকেই তিনি সন্দেহ করেন ওইদিন মসজিদে থাকা জয়, প্রান্ত, জিসানসহ কয়েকজনকে। এ নিয়ে অভিযুক্তদের সাথে রাস্তায় মারামারিতে জড়ান ওই শিক্ষক।
বাড়িতে হামলার ঘটনায় একটি মামলা করেছেন শিক্ষক। গ্রেফতার হয়েছে দুই আসামি।
আরও পড়ুনঃ
জয়পুরহাটে জুয়ার আসরকে কেন্দ্র করে ছুরিকাঘাতের ঘটনায় গ্রেফতার ১
জয়পুরহাটের তেঘরবিশা মেলার জুয়ার আসরকে কেন্দ্র করে ছুরিকাঘাতের ঘটনায় একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। রোববার (২১ এপ্রিল) গ্রেফতারের বিষয়টি জানায় পুলিশ।
গ্রেফতার হওয়া ব্যক্তির নাম রুহুল আমিন। তিনি জেলা শহরের আদর্শপাড়া এলাকার ওসমান আলীর ছেলে।
এর আগে, শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে সদর উপজেলার মোহাম্মদাবাদ ইউনিয়নে ছুরিকাঘাতের ঘটনা ঘটে।এতে দুজন আহত হন। আহতরা হলেন, জেলা শহরের আদর্শপাড়া এলাকার মোসলেম উদ্দিনের ছেলে খোরশেদ আলম মন্ডল ও একই এলাকার কাজেম উদ্দিনের ছেলে ফারুক হোসেন। তারা দুজন যুবলীগের কর্মী বলে জানা গেছে। পরে এ ঘটনায় শনিবার (২০ এপ্রিল) রাতে জয়পুরহাট থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন, জয়পুরহাট কলেজ শাখা ছাত্রদলের সদস্য সচিব ও শহরের আদর্শপাড়া এলাকার বাবুর ছেলে পিয়াস আহমেদ পৃথিবী (২৮), একই এলাকার রেজাউল করিমের ছেলে আল আমিন (২৫), ওসমান আলীর ছেলে রুহুল আমিন (২৪), হানিফের ছেলে হাসিব (২২), রফিকুল ইসলামের ছেলে রঞ্জু (২৮)।
স্থানীয়রা জানান, শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) রাতে পিয়াস লোকজন নিয়ে জুয়ার আসরে এসে টাকা দাবি করলে মারধরের ঘটনা ঘটে। পরে খোরশেদ বিষয়টি মিমাংসা করে দেন। এরপর রাতে বাড়ি ফেরার সময় খোরশেদ ও তার সাথে থাকা ফারুককে ছুরিকাঘাতের ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা আরও জানান, প্রতিবছর সনাতন ধর্মালম্বীদের শিবপূজা উপলক্ষ্যে তেঘরবিশায় মেলা বসে। গত ১৪ এপ্রিল থেকে মেলাটি শুরু হয়। শুরুর থেকেই স্থানীয় প্রভাবশালীরা মেলায় আপত্তিকর নৃত্য ও জুয়ার আসর চালু করে।
জয়পুরহাট থানার এসআই নাজমুল জান্নাত শাহ্ বলেন, গ্রেফতারকৃত রুহুল আমিনকে আদালতের মাধ্যমে হাজতে পাঠানো হয়েছে। অন্য আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।