দামেস্কে ইরানের কনস্যুলেট ভবনে হামলার জবাবে শনিবার (১৩ এপ্রিল) রাতে ইসরায়েলে নজিরবিহীন হামলা চালায় ইরান। প্রতিশোধ নিতে ইসলায়েলও পাল্টা হামলা চালাতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছিল। অবশেষে সন্দিহান থাকা বিষয়টি সোমবার (১৫ এপ্রিল) ইসরায়েলের যুদ্ধকালীন মন্ত্রিসভার বৈঠকে পরিষ্কার হয়েছে।
টাইমস অব ইসরায়েলের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুদ্ধকালীন মন্ত্রিসভা সিদ্ধান্তে পৌঁছেছে যে, ইরানের ব্যাপক ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন নিক্ষেপের জবাব দেওয়া হবে।
ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনীর চিফ অব স্টাফ হারজি হালেভি বলেন, হামলার জবাব ইরান পাবে। তবে কিভাবে জবাব দেওয়া হয়ে সে বিষয়ে তিনি বিস্তারিত কিছু জানাননি।
মধ্যপ্রাচ্যে সংঘাত বৃদ্ধির আশঙ্কা ও সংযমের জন্য আন্তর্জাতিক চাপ সত্ত্বেও ইরানের হামলার জবাব দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইসরায়েল।
অন্যদিকে, ইরানের সামরিক বাহিনীর প্রধান মেজর জেনারেল মোহাম্মদ হোসাইন বাঘেরি বলেছেন, অভিযান চালিয়ে যাওয়ার ইচ্ছা আমাদের নেই। তবে, ইসরায়েল পাল্টা কিছু করার চেষ্টা করলে বড় পরিসরে হামলা চালানো হবে ইরানের প্রতিক্রিয়া।
এর আগে, গত ১ এপ্রিল সিরিয়ায় ইরানি কনস্যুলেটে হামলা চালায় ইসরায়েল। এতে ১৩ জনের মৃত্যু হয়। এ হামলার জন্য ইসরায়েলকে সরাসরি দায়ী করেছে ইরান। হামলার জবাবে শনিবার (১৩ এপ্রিল) রাতে ইসরায়েলে ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ইরান।
ইসরায়েলের দাবি, ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র গুলো ইসরাইলের আকাশসীমায় পৌঁছানোর আগেই ভূপাতিত করা হয়েছে। শতাংশ হামলাই প্রতিহত করা হয়েছে। তবে ইরান বলছে, হামলায় ইসরায়েলের একটি গোয়েন্দা কেন্দ্র ও একটি বিমান ঘাঁটি ধ্বংস হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত বছরের ৭ অক্টোবর গাজার ইরেজ সীমান্ত দিয়ে ইসরায়েলের ভূখণ্ডে ঢুকে অতর্কিত হামলা চালিয়ে ১ হাজার ২০০ জন মানুষকে হত্যা করে হামাস। পাশপাশি জিম্মি হিসেবে ধরে নিয়ে যায় ২৪২ জনকে। এরপর গাজায় হামলা শুরু করে ইসরায়েলি বাহিনী।
দখলদারদের এমন হামলায় নিহতের সংখ্যা ৩৪ হাজার ছাড়িয়েছে। এরমধ্যে নারী ও শিশুর সংখ্যাই ২৪ হাজারের বেশি। বাস্তুচ্যুত হয়েছেন ২০ লাখ মানুষ। ২২৯টি মসজিদ সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস হয়ে গেছে।