পবিত্র রমজানে হরহামেশা যে দৃশ্য দেখা যায় তা হলো- ইফতারির পর নামাজ শেষে দৌড়ে গিয়ে সিগারেট ধরানো বা ধূমপান করা। কিন্তু এই পবিত্র মাসেও একটা ইবাদত করার পর হারাম নেশায় মগ্ন থাকেন তাহলে আপনার রোজা কবুলের সম্ভাবনা কতটা সেটা একবার ভেবে দেখা দরকার।
এটা সত্য যে ধূমপান করা হারাম। আর যেটা হারাম, সেটা হারামই। রোজা রাখা অবস্থায় ধূমপান করলে অবশ্যই রোজা ভঙ্গ হবে। তবে সেহরির আগে বা ইফতারের পর ধূমপান করলে রোজার ক্ষতি হয় না। কিন্তু রোজার মূল উদ্দেশ্য হলো সংযম এবং হারাম পরিহার করা। সেই উদ্দেশ্য ঠিক থাকে না। সুতরাং, এটা পরিহার করার জন্য চেষ্টা করতে হবে।
আপনি আল্লাহর সন্তুষ্টির অন্য সিয়াম পালন করছেন। হারাম কাজের মধ্যে নিজেকে জড়িত করে আপনি যতই সামনে দৌড়ান না কেন, আপনি সামনে যেতে পারবেন না। আপনি অগ্রসর হতে পারবেন না, হারাম কাজ আপনাকে পেছনে নিয়ে যাবে।
যে ব্যক্তি মিথ্যা কথা, মিথ্যাচার এবং যে গর্হিত বিষয় আছে, সেগুলো পরিহার করতে পারল না, তার সিয়াম শুধু লোক দেখানো হবে। এই সিয়ামের মাধ্যমে আপনি আল্লাহর মূল উদ্দেশ্য পর্যন্ত পৌঁছাতে পারবেন না।
তাছাড়া চিকিৎসাবিজ্ঞানের মতে, ধূমপান শরীরের জন্য ক্ষতিকর। দিনভর রোজা রেখে ইফতার শেষ করেই ধূমপান আরও বেশি প্রভাব ফেলে শরীরে। ইফতার শেষে ধূমপানের ফলে স্ট্রোক ও হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বেড়ে যেতে পারে। সব মিলিয়ে আল্লাহ তায়ালা আমাদের সবাইকে সহীহ আকিদা অনুযায়ী ইবাদত পালন করার তাওফিক দান করুন। আমিন…