বগুড়ার বাজারে আলু ছাড়া কমেছে অধিকাংশ শাকসবজির দাম। তবুও মিলছে না ক্রেতা। এতে চরম বিপাকে পড়েছেন সবজি ব্যবসায়ীরা।
রোজা শুরুর আগের দিনও রাজাবাজার ও ফতেহ আলী বাজারে ৫০ টাকা কেজি দরের বেগুনের দাম ওঠে ১০০ টাকায়। ৪০ টাকার শিম বিক্রি হয় ৮০ টাকায়। এভাবে টমেটো, গাজর, খিরা, শসা ও লেবুসহ প্রায় সব ধরনের শাকসবজি দ্বিগুণ দামে বিক্রি হয়। মাত্র কয়েক দিনের ব্যবধানে বেগুনের দর খুচরা বাজারে কেজিপ্রতি ২০ টাকায় নেমেছে। অন্য শাকসবজির দামও নেমেছে অর্ধেকে।
এ দিকে রোজার আগের দিন থেকে শিম ১০০, গাজর ৪০, টমেটো ৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়। লেবুর হালি ছিল সর্বনিম্ন ৪০ টাকা। শসার কেজি ১০০ টাকা, খিরা ৮০ টাকা।
সরেজমিনে কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা যায়, কয়েকদিনের ব্যবধানে শিমের দাম চাওয়া হচ্ছে ২০ থেকে ৩০ টাকা, গাজর ১৫ টাকা ও টমেটো ২৫ টাকা, শসা ও খিরা ৪০ টাকা। লেবুর হালি ২০-২৫ টাকা।
এ বিষয়ে রাজাবাজারের একজন ব্যবসায়ী জানান, গত সোম থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত সব ধরনের শাকসবজির দাম চড়া ছিল। শুক্রবার ধস নামে। ১০০ টাকা কেজির বেগুন ২০ টাকা হলেও ক্রেতা পাওয়া যাচ্ছে না।
দাম কমার বিষয়ে এ ব্যবসায়ী বলেন, আমদানি বেশি। সেই তুলনায় ক্রেতা নেই। এ কারণে কম দামেও পণ্য বিক্রি করা যাচ্ছে না। যেখানে দেশি নতুন পেঁয়াজের কেজি ছিল ৮০ টাকা। গতকাল থেকে সেই পেঁয়াজ ৭০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। তবে আলুর দাম কেজিতে ছয় টাকা বেড়ে ৩৬ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কাঁচামরিচের দাম কমেছে অর্ধেক। রোজার এক দিন আগে ৪০ টাকা বেড়ে বিক্রি হয় ৮০ টাকা কেজি দরে। অথচ রোববার আবার আগের দামেই কাঁচামরিচ বিক্রি হয়।
ফতেহ আলী বাজারের এক ব্যবসায়ী জানান, আলুর দাম তিন দিন আগেও কেজিপ্রতি ৩০ টাকা ছিল। শুক্রবার ৩৬ টাকায় বিক্রি হয়। মাঠে কৃষকের খেতে আলু নেই। এ কারণে সরবরাহ কমায় দাম বাড়ছে।
কৃষি বিপণন বিভাগ বগুড়ার মাঠ ও বাজার পরিদর্শক আবু তাহের জানান, বেগুন, শিম, খিরা, শসা ও লেবুর দাম যেভাবে বেড়েছিল সেভাবেই কমেছে। বাজারে সরবরাহের তুলনায় ক্রেতা না থাকায় দাম কমেছে।