গত একবছরে এমনিতেই খাদ্যপণ্যের দাম নাগালের বাইরে। মাহে রমজানে পণ্যের দাম আরেক দফা বাড়াতে যেন প্রতিযোগিতা লেগে যায়। এতে রমজানে ইফতার করতে হিমশিম খাচ্ছেন মেসে থাকা শিক্ষার্থীরা। একদিকে যেমন বেড়েছে বাসা ভাড়া সঙ্গে পণ্যের দাম বাড়ার কারণে ছোলা মুড়ি ছাড়া ছাড়া ইফতারিতে তেমন কিছু জুটছে না মেসে থাকা শিক্ষার্থীদের। খেজুরের দামও এখন নাগালের বাইরে।
বান্দরবান শহরের বিভিন্ন কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ৫/৭ জন মেস করে থাকেন। অনেকেই পড়াশোনা শেষে এসব মেসে থেকে চাকরির প্রস্তুতি নেন। এদের বেশিরভাগই মধ্যবিত্ত ও নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারের থেকে আসা। মেসে থাকা বেশিরভাগ শিক্ষার্থীরা টিউশনি কিংবা পরিবার থেকে টাকা এনে চলেন। এ সময় তাদের টিউশনির বেতন না বাড়লেও খরচ অনেক বেড়ে গেছে। এতে তারা ইফতারের জন্য মুড়ি আর ছোলা ছাড়া ফলমূলের ব্যবস্থা করতে পারছেন না।
রমজানে বান্দরবান জেলা সদরে সরকারি কলেজের আবাসিক হোস্টেলের বাইরে বাসা ভাড়া করে মেস করে থাকছেন ২০ থেকে ৩০ জন শিক্ষার্থী। তাদের ইফতারে রকমারি আইটেমের উপস্থিতি নেই। অনেকটা সাদামাটা ভাবে মুড়ি, পেঁয়াজু, বেগুনি আর সামান্য ছোলা দিয়েই তাদের ইফতার সারতে হচ্ছে।
বান্দরবান বিশ্ববিদ্যালয়ের গভর্নেন্স অ্যান্ড ডেভলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের ৫ম সেমিস্টারের ছাত্র শাহরুখ আরমান বলেন, বর্তমান বাজারের দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে পরিবার থেকে যে টাকা পাঠানো হয় সেই টাকা দিয়ে পড়ালেখার খরচ মিটিয়ে হাতে তেমন কোনো টাকা থাকে না। রমজান মাসে ইফতার করতেও কষ্ট হয়ে যায়।
একই বিশ্ববিদ্যালয়ের বিবিএ ৫ম সেমিস্টারের ছাত্র ইমাম হোসেন বলেন, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে ব্যাচেলর ছাত্রদের খুবই অসুবিধার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। পরিবার থেকে যে টাকা দেয় তা দিয়ে বাসা ভাড়া দিয়ে খুব বেশি টাকা থাকে না। তাই ইফতার ও সেহরিতে ভালো কিছুর ব্যবস্থা করা কঠিন।
বান্দরবান সরকারি কলেজের অর্থনীতি বিভাগের ২য় বর্ষের ছাত্র তানভীর হাসান বলেন, বাড়ি থেকে যে খরচ দেয় তা দিয়ে চলে না। বাসা ভাড়া, খাবার খরচ, কলেজের বেতন সব মিলিয়ে অনেক খরচ। প্রতিদিন সব মিলিয়ে ৩০০ টাকার মতো ব্যয় হয়। এ টাকা জোগান দিতে গিয়ে হিমশিম খেতে হচ্ছে।