সিলেটের কানাইঘাট সীমান্ত দিয়ে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার সময় আটক সাবেক বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিককে শনিবার (২৪ আগস্ট) কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত। এর আগে আদালত চত্বরে আনা হলে ক্ষুব্ধ জনতা তার ওপর ডিম ও জুতা নিক্ষেপ করে।
এদিকে বিচারপতি মানিকের গ্রেপ্তার বিষয়ে নিজের ফেসবুক পেজে একটি পোস্ট করেছেন সাবেক সংসদ সদস্য গোলাম মাওলা রনি। তিনি তার পোস্টে লিখেছেন, বিচারপতি মানিক ইচ্ছা করলে প্রথম আলো অথবা ডেইলি স্টার অফিসে আশ্রয় নিতে পারতেন। তিনি একটু কষ্ট করে ভারতীয় দূতাবাসে গেলেও রক্ষা পেতেন।
তিনি আরও লিখেছেন, আর কিছু না পারলে যদি চ্যানেল আইয়ের উপস্থাপিকা দীপ্তির বাসায় গিয়ে বলতেন, মাগো আমি বুড়ো মানুষ, বিপদে পড়ে এসেছি। আমাকে তাড়িয়ে দিয়ো না। আমার বিশ্বাস, দীপ্তি তার দাদার বয়সী মানুষটিকে ক্ষমা করে আশ্রয় দিতেন।
গত মাসের শেষের দিকে একটি টকশো’র সুবাদে ভাইরাল হয়েছিলেন সঞ্চালক দীপ্তি চৌধুরী ও সাবেক বিচারপতি মানিক। সঞ্চালক দীপ্তি চৌধুরী এই টকশোতে অতিথি ছিলেন সাবেক বিচারপতি মানিক ও গোলাম মাওলা রনি। সেসময় এই টকশো’র ক্যামেরার পেছনের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়েছে পড়েছে। তাতে দেখা যায়, টকশো শেষেও উপস্থাপিকা দীপ্তির সঙ্গে তর্কে জড়িয়েছিলেন বিচারপতি মানিক।
অনুষ্ঠান শেষে দীপ্তি চৌধুরীকে রাজাকারের বাচ্চা বলেন বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক। এ সময় নিজের মেজার হারান দীপ্তি। তিনি বলেন, আপনার কোনো অধিকার নেই আমাকে রাজাকারের বাচ্চা বলার। আমি একটা মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সন্তান। আমি একটা মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সন্তান, আপনি আমাকে কোন সাহসে রাজাকার বলেন।
এ সময় শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক বলেন, আপনার ব্যবহারের দেখে আমি এ কথা বলেছি। এ কথা শুনে দীপ্তি চৌধুরী আবারও রেগে যান। পরে পরিস্থিতি খারাপ হওয়ায় বিএনপি নেতা গোলাম মাওলা রনি এসে বিচারপতি মানিককে নিয়ে অনুষ্ঠান সেট থেকে চলে যান।