লক্ষ্মীপুরে কোটা আন্দোলনের গণমিছিলে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের সংঘর্ষ হয়েছে। এ সময় এক যুবককে অস্ত্র হাতে শিক্ষার্থীদের ধাওয়া করতে দেখা গেছে। এ ঘটনায় অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন।
শুক্রবার (২ আগস্ট) বেলা আড়াইটার দিকে শহরের উত্তর তেমহনী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।স্থানীয়রা জানান, জুমার নামাজ শেষে চকবাজার এলাকায় ছাত্রলীগ-যুবলীগ ও আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা শিক্ষার্থীদের আন্দোলন ঠেকাতে অবস্থান নেন। এ সময় প্রকাশ্যেই অস্ত্র নিয়ে শিক্ষার্থীদের ধাওয়া করে এক ব্যক্তি।
জানা গেছে, অস্ত্র নিয়ে ধাওয়া করা ব্যক্তির নাম রাসেল। তিনি সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি এ কে এম সালাউদ্দিন ওরফে টিপুর গাড়িচালক।
উপজেলা চেয়ারম্যান এ কে এম সালাউদ্দিন গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ‘অস্ত্রটি আমার লাইসেন্স করা। সংঘর্ষের পর গাড়িচালককে দিয়ে অস্ত্রটি বাসা পাঠিয়েছি। এ সময় কেউ একজন ছবিটি তুলেছেন। সংঘর্ষের জন্য অস্ত্রটি ব্যবহারের অভিযোগ সঠিক নয়।’
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের মিছিল শেষে হলে আন্দোলনকারীরা বাজার ব্রিজ থেকে মিছিল নিয়ে বের হন। মিছিলটি চকবাজার মসজিদের সামনে গেলেই শিক্ষার্থীরা ‘ভুয়া, ভুয়া’ স্লোগান শুরু করেন।
মিছিলটি উপজেলা চেয়ারম্যানের বাসার সামনে গেলে মিছিল থেকে যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের ওপর ইটপাটকেল নিক্ষেপ করা হয়। এতে পুলিশের বাধা ভেঙে লাঠিসোঁটা নিয়ে শিক্ষার্থীদের ধাওয়া করেন যুবলীগ-ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। তারাও শিক্ষার্থীদের ওপর ইটপাটকেল ছোড়েন।
লক্ষ্মীপুর সদর থানার ওসি ইয়াছিল মজুমদার ফারুক বলেন, ‘আন্দোলনকারীরা উপজেলা চেয়ারম্যানের বাসভবনে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। এ সময় যুবলীগের নেতা-কর্মীরা পাল্টা হামলা চালায়। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে। অস্ত্র হাতে যুবকের ছবিটি দেখেছি। তাকে চিহ্নিত করার চেষ্টা চলছে।’