অনলাইনে অর্ডার করা আইসক্রিম কোন খেতে গিয়ে তার মধ্যে মানুষের আঙুল পেয়েছিলেন বলে অভিযোগ করেছিলেন মুম্বইয়ের মালাডের এক চিকিৎসক। ভয়াবহ এমন ঘটনার সম্মুখীন হওয়া ওই চিকিৎসক সঙ্গে সঙ্গে বিষয়টি পুলিশকে জানিয়েছিলেন। এরপর তারা বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু করে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি বুধবার (১৯ জুন) এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, পুলিশ এ রহস্য উন্মোচনের দ্বারপ্রান্তে রয়েছে। এরমাধ্যমে জানা যাবে ওই আঙুলটি আসলে কার।
পুলিশ ইতোমধ্যে জানতে পেরেছে মানুষের আঙুল পাওয়া ওই আইসক্রিমটি তৈরি হয়েছিল ‘ইয়াম্মো আইসক্রিম’-এর পুনের একটি ফ্যাক্টরিতে। আর ওই ফ্যাক্টরিতে এক কর্মীর আঙুল দুর্ঘটনার কবলে পড়েছিল। এমনকি আঙুল পাওয়া আইসক্রিমটি ওইদিনই প্যাকেট করা হয়েছিল।
পুলিশ আঙুলটির ডিএনএ সেম্পল পরীক্ষার জন্য পাঠিয়েছে। ওই পরীক্ষার পরই জানা যাবে আঙুলটি ফ্যাক্টরির ওই কর্মীরই ছিল কিনা।
গত বুধবার অনলাইনে একটি আইসক্রিম অর্ডার করে সেই আইসক্রিমে মানুষের হাতের আঙুল পাওয়ার অভিযোগ করেন মুম্বাইয়ের মালাদ শহরতলিতে বসবাসকারী চিকিৎসক ওরলেম ব্র্যান্ডন সেরাও।
আইসক্রিমটি খাওয়ার একপর্যায়ে তিনি বাদামজাতীয় কিছুর অস্তিত্ব অনুভব করেন। কিন্তু মনোযোগ দিয়ে দেখতে গিয়ে লক্ষ করেন যে আইসক্রিমের মধ্যে বাদাম নয়, মানুষের হাতের একটি আঙুল রয়েছে! এমন ঘটনায় আঁতকে ওঠেন তিনি।
ওরলেম ব্র্যান্ডন বিষয়টিকে অন্তত দুঃখজনক বলে নিজের অভিজ্ঞতা শেয়ার করেছেন। তিনি বলেন, আইসক্রিমটি অর্ধেক খাওয়ার পর, আমি আমার মুখে শক্ত কিছু অনুভব করি। আমি ভেবেছিলাম এটি চকলেট অথবা বাদামের অংশ। এরপর আমি দেখার চেষ্টা করি এটি আসলে কী। আমি একজন চিকিৎসক। তাই আমি জানি শরীরের অঙ্গ কেমন। যখন আমি ভালোভাবে দেখি তখন দেখতে পাই এটিতে নখ এবং ফিঙ্গারপ্রিন্ট রয়েছে। এটি বুড়ো আঙুলের মতো দেখতে ছিল। আমি খুবই ভয় পেয়ে যাই।
এ ঘটনার পর ইয়াম্মো আইসক্রিমকে পণ্য সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স বাতিল করা হয়েছে। এ ছাড়া মানুষের স্বাস্থ্যকে ঝুঁকিতে ফেলার জন্য মামলাও করা হয়েছে।