Friday, November 22, 2024

খুনের পর চামড়া ছাড়িয়ে টুকরো করা হয় এমপির মরদেহ, হাড়হিম তথ্য

আরও পড়ুন

চিকিৎসার জন্য ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যে গিয়ে খুন হয়েছেন ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনার। তার মরদেহ এখনও উদ্ধার করা যায়নি।

পুলিশসহ অন্যান্য সংস্থা এই হত্যাকাণ্ডের তদন্ত করছে এবং সময় যতই গড়াচ্ছে হাড়হিম করা ভয়ঙ্কর সব তথ্য সামনে আসছে।

আনারকে হত্যার ঘটনায় জিহাদ হাওলাদার নামের এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে ভারতের সিআইডি। এরপরই তদন্তে গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি হয়েছে।

জানা গেছে, জিহাদ বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী এবং পেশায় একজন কসাই। অবৈধভাবে মুম্বাইয়ে বাস করতেন তিনি। সেখানে একটি মাংসের দোকানে কসাইয়ের কাজ করতেন।

জিহাদকে জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে, কলকাতায় একটি অ্যাপার্টমেন্টে খুন হওয়ার পর এমপি আনারের মরদেহের চামড়া ছাড়ানো হয়। এরপর মরদেহ টুকরো টুকরো করে বেশ কয়েকটি প্লাস্টিকের প্যাকেটে ভরা হয়।

আরও পড়ুনঃ  একাধিকবার শারীরিক সম্পর্ক, বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে কলেজছাত্রী

পরিকল্পিত নৃশংস এই হত্যাকাণ্ডের মূল পরিকল্পনাকারী এমপি আনারের বন্ধু আখতারুজ্জামান শাহীন কলকাতায় যাওয়ার দুই মাস আগেই জিহাদকে ডেকে আনা হয়।
জিজ্ঞাসাবাদে জিহাদ স্বীকার করেছে, আখতারুজ্জামানের নির্দেশে তিনিসহ আরও চারজন মিলে এমপি আনারকে ফ্ল্যাটে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে।

জিহাদকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ভারতের সিআইডির এক কর্মকর্তা জানান, এমপিকে হত্যার পরে তার শরীর থেকে মাংস এবং হাড় আলাদা করে ফেলা হয়। মূলত পরিচয় নষ্ট করার জন্য এমপির মাংস কিমা করে তা প্লাস্টিকের ব্যাগে রাখা হয়। আর হাড়গুলোকে ছোট ছোট টুকরো টুকরো করে তারা। পরে ওই ব্যাগগুলো ফ্ল্যাট থেকে বের করে নানা ধরণের পরিবহন ব্যবহার করে কলকাতার বিভিন্ন অঞ্চলে ফেলে দেওয়া হয়েছে।

আরও পড়ুনঃ  ১৫ আগস্ট কি ছুটিই থাকছে? যা জানা গেলো

এদিকে অভিযুক্ত জিহাদ হাওলাদারকে নিয়ে বৃহস্পতিবার প্রায় মধ্যরাত পর্যন্ত কলকাতাজুড়ে তল্লাশি চালিয়েছে পশ্চিমবঙ্গের গোয়েন্দা পুলিশ।

পশ্চিমবঙ্গের গোয়েন্দা পুলিশ এমপি আনার হত্যার রহস্য শেষ করতে চাইছে। ইতোমধ্যে ঢাকা ও কলকাতার গোয়েন্দা বিভাগ জানে কীভাবে তাকে হত্যা করা হয়েছে। এখন প্রয়োজন দেহাংশ উদ্ধার করা অথবা দেহাংশ সরাতে ব্যবহৃত প্লাস্টিক বা ট্রলি কোথায়, তা জানা। তবে পুলিশের ধারণা, দেহাংশ উদ্ধার এক প্রকার অসম্ভব।

পুলিশ জানিয়েছে, মরদেহ একেবারে কিমার মতো টুকরো করা হয়েছিল। হাড়গুলোরও ছোট ছোট টুকরো করা হয়েছিল। ফলে মরদেহের সব অংশ উদ্ধার একপ্রকার অসম্ভব। কীভাবে মাস্টারপ্ল্যান সাজিয়ে অপরাধীরা মরদেহের বিভিন্ন অংশ কলকাতার বিভিন্ন প্রান্তে ফেলেছিল, তা দেখতে চায় পুলিশ। এ কারণে বৃহস্পতিবার রাতে জিহাদকে নিয়ে চলে তল্লাশি। তবে অন্ধকার থাকার কারণে তা বেশিক্ষণ চালানো সম্ভব হয়নি।

আপনার মতামত লিখুনঃ

সর্বশেষ সংবাদ