ইসরায়েলে হামলা শুরু করেছে ইরান। শনিবার (১৩ এপ্রিল) গভীর রাতে শত শত ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে হামলা চালিয়েছে দেশটি। মূলত চলতি মাসের শুরুর দিকে সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে ইরানের দূতাবাসে ইসরায়েলি বোমা হামলার জবাবে এই পাল্টা হামলা শুরু করেছে তেহরান। খবর রয়টার্স ও এনডিটিভির।
ইরানের হামলার পরপর ইসরায়েলি ভূখণ্ডের ভেতের ব্যাপক বিস্ফোরণের খবর পাওয়া গেছে। সারা দেশজুড়ে বিমান হামলার সতর্কতামূলক সাইরেন বাজানো হচ্ছে। ইরানি হামলায় সাত বছর বয়সী একটি মেয়ে গুরুতর আহত হয়েছে। যদিও ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর দাবি, ইরানের ছোড়া অধিকাংশ ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র ইসরায়েলের আকাশসীমার বাইরেই ভূপাতিত করা হয়েছে।
ইসরায়েলের সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র ড্যানিয়েল হাগারি বলেছেন, ক্রুজ মিসাইলসহ বেশ কয়েক ডজন ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে ইরান। তাদের হামলায় ২০০টির বেশি ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছে। এদের বেশিরভাগ ইসরায়েলি সীমার বাইরে প্রতিহত করা হয়েছে। তবে ইরানের এই সমন্বিত আক্রমণে একটি ইসরায়েলি সামরিক স্থাপনার সামান্য ক্ষতি হয়েছে।
এদিকে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর (আইডিএফ) শেয়ার করা একটি ভিডিওতে দেখা যায়, ইসরায়েলি আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা আয়রন ডোম তাদের আকাশসীমায় শত শত ইরানি ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্রকে রুখে দিচ্ছে।
ইসরায়েলের আয়রন ডোম মূলত ভূমি থেকে আকাশে নিক্ষেপ করা একটি স্বল্পপাল্লার প্রতিরক্ষাব্যবস্থা। মিসাইল বা রকেট প্রতিরোধক এই আয়রন ডোম মূলত তিনটি কাজ করে। রাডারের মাধ্যমে লক্ষ্যবস্তুকে চিহ্নিত করা, দ্রুত সেই লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানার জন্য তৎপর হওয়া এবং ক্ষেপণাস্ত্র হামলাকে রুখে দেওয়া।
ইসরায়েলের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রতিরক্ষাব্যবস্থার অন্যতম এটি। হিব্রু ভাষায় এর নাম কিপাট বারলজেল। কার্যকারিতার কারণেই ইসরায়েলের কাছে এটি গুরুত্বপূর্ণ। এর সাফল্যের হার ৯৫ শতাংশেরও বেশি।
২০১১ সাল থেকে প্রতিরক্ষায় এটি ইসরায়েলের অন্যতম ভরসা। এটি অনেকবার নতুন করে আধুনিকায়ন করা হয়েছে। ইসরায়েলের দিকে ছোড়া স্বল্প-পাল্লার মিসাইল ও রকেটকে মাঝপথে নাস্তানাবুদ করে ইসরায়েলি নাগরিকদের বাঁচাতে এটি তৈরি করা হয়েছে।
ইসরায়েলেই রাফায়েল অ্যাডভান্সড ডিফেন্স সিস্টেমের আওতায় তৈরি করা হয়েছে আয়রন ডোম। এতে সাহায্য করেছে ওয়াশিংটন। এখনো মার্কিনিরা এ আয়রন ডোম চালানোর খরচ বহনে সহায়তা করে চলেছে।