ট্রেনের ভেতরে ও ছাদে উপচে পড়া ভিড়। কয়েক জন বাঁশের তৈরি ৮-১০ ফুট উচ্চতার মই নিয়ে ছোটাছুটি করছেন। কেউ মই বেয়ে ট্রেনের ছাদ থেকে নামছেন, কেউ আবার উঠছেন।
গতকাল মঙ্গলবার রাত ৯টায় এমন চিত্রের দেখা মেলে দিনাজপুরের ফুলবাড়ী রেলওয়ে স্টেশনে।
ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা আন্তনগর একতা এক্সপ্রেস ট্রেনটি ফুলবাড়ী স্টেশনের ১ নম্বর প্ল্যাটফরমে দাঁড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে মই নিয়ে ছোটাছুটি করতে দেখা যায় কয়েকজন নারী-পুরুষকে। কেউ ট্রেনের ছাদ থেকে নামতে এবং উঠতে চাইলে তাদের ডাকছেন। সঙ্গে সঙ্গে মই নিয়ে ছুটে এসে ট্রেনের ছাদে লাগিয়ে দিচ্ছেন, এরপর যাত্রীদের কাছ থেকে জনপ্রতি ১০ টাকা করে ভাড়া আদায় করছেন।
জানতে চাইলে কয়েকজন জানান, এখন ঈদের সময় অনেক যাত্রী ট্রেনের ভেতরে জায়গা না পেয়ে ছাদে উঠে যাত্রা করছেন। কেউ নামতে বা উঠতে চাইলে ট্রেনে মই লাগিয়ে দিচ্ছেন। এতে যাত্রীদের সুবিধা হচ্ছে, বিনিময়ে তারাও কিছু টাকা পাচ্ছেন। ঈদের আগে-পরে সাত দিন এভাবে মই দিয়ে মানুষকে ওঠানামা করান বলে জানান তারা।
ঝুঁকি নিয়ে কেন ট্রেনের ছাদে এলেন এমন প্রশ্নের জবাবে মই বেয়ে নামা যাত্রীরা জানান, পরিবারের সঙ্গে ঈদ করতে বাড়ি যাচ্ছি। ট্রেনের ভেতরে জায়গা নেই, কিন্তু যেতে তো হবেই, তাই এ ব্যবস্থা।
ফুলবাড়ী রেলস্টেশনের সহকারী স্টেশন মাস্টার টুটুল চন্দ্র সরকার বলেন, ‘ফুলবাড়ী স্টেশন হয়ে প্রতিদিন এই রুটে ১১টি আন্তনগর ট্রেন চলাচল করে, এর মধ্যে এখানে দুটি ট্রেনের স্টপেজ নেই। ঈদের সময় অনেকেই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ট্রেনের ছাদে যাত্রা করেন। ট্রেনের ছাদে জার্নি করা বেআইনি, তবু অনেকে না মেনে ঝুঁকি নিয়ে এভাবে যাত্রা করেন। যেকোনো সময় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে, আমাদের স্টেশনে জিআরপি নেই বলে বিষয়টি নিয়ে কিছুই করার থাকে না। তবে যেসব জংশন স্টেশনে জিআরপি রয়েছে, সেখানে ব্যবস্থা নেওয়া হয়। এ জন্য সবাইর সচেতন হওয়া প্রয়োজন।’
পার্বতীপুর রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাকিউল আজম বলেন, ‘ট্রেনের ছাদে যাত্রা করা বেআইনি, এতে মারাত্মক ঝুঁকিও রয়েছে।