নারায়ণগঞ্জ শহরের চাষাঢ়ায় বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ম্যুরাল ভেঙে ফেলেছে দুর্বৃত্তরা। বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) সকালে ম্যুরালটি শহীদ জিয়া হলের সামনে ভাঙা অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায়।
এ ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বিএনপি নেতারা। খবর পেয়ে বিকেলে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির নেতারা।
এ সময় নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান বলেন, ‘ঘটনাটি অত্যন্ত লজ্জাজনক৷ আমরা হতবাক ও ব্যথিত হয়েছি৷ শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান মুক্তিযুদ্ধের ঘোষক ও সেক্টর কমান্ডার ছিলেন। তিনি যুদ্ধের পর বীর উত্তম উপাধিতে ভূষিত হয়েছেন। ১৯ দফা কর্মসূচির মাধ্যমে তিনি এ দেশকে রক্ষা করেছিলেন। সরকারি দলের লোকেরা ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে শহীদ জিয়ার ম্যুরাল ভেঙেছে।’
নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আবু আল ইউসুফ খান টিপু বলেন, ‘পবিত্র রমজান মাসে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ম্যুরাল ভেঙে ফেলা হলো। এভাবে তারা মানুষের হৃদয় থেকে জিয়াউর রহমানের নাম মুছে ফেলতে পারবে না। তিনি রণাঙ্গনের মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন। গতকাল রাতের অন্ধকারে চিহ্নিত গডফাদার শামীম ওসমান এমপির নির্দেশে এই ম্যুরাল ভাঙা হয়। এর জেরে শহরে কোনো বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি সৃষ্টি হলে তার দায় প্রশাসন, আওয়ামী লীগ ও শামীম ওসমানকেই বহন করতে হবে। শামীম ওসমান একজন প্রতিহিংসাপরায়ণ ও হিংসুটে রাজনীতিবিদ। তার দ্বারা অহিংস ও শান্তিপূর্ণ রাজনীতি মোটেই করা সম্ভব নয়। তিনি সংযমের মাসেও প্রতিহিংসার কারণে রাতের অন্ধকারে সন্ত্রাসের আশ্রয় নিয়ে শহীদ জিয়ার ম্যুরাল ভেঙেছেন, তার জবাব তাকে একদিন না একদিন দিতেই হবে। ২০ কোটি মানুষের হৃদয় থেকে শহীদ জিয়ার নাম ও ছবি মুছে ফেলা যাবে না।