শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলার ডুবিসায়বর বন্দরে (কাজীরহাট) প্রথম রমজান থেকেই তরমুজ বিক্রি হচ্ছিল ৮০ টাকা কেজি দরে। জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর এর অভিযানে দৃশ্য পাল্টে ৮০০ টাকার তরমুজ হয়ে যায় ৪০০ টাকা। রোববার (১৭ মার্চ) দুপুরে এ ঘটনা ঘটে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর শরীয়তপুর এর সহকারী পরিচালক সুজন কাজীর নেতৃত্বে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ সময় দেখা যায়, সকল তরমুজ ব্যবসায়ীরা কেজি হিসেবে তরমুজ বিক্রি বন্ধ করে পিস হিসেবে বিক্রি করছেন। তাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে মাপার যন্ত্র সরিয়ে ফেলেছেন।
এ সময় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের অভিযানিক দলটি তরমুজ বিক্রেতাদের তরমুজ কেনার রশিদ পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেন। ন্যায্য দামে ব্যবসায়ীদের তরমুজ বিক্রয়ের পরামর্শ দেন।
এ ছাড়া বাজারের অন্যান্য ফলের দোকানে পণ্যের মূল্য টানানোসহ ক্রেতাদের পাকা ভাউচার প্রদানের জন্য সতর্ক করেন। এ সময় ‘ভাই ভাই বাণিজ্যলয়’ নামে একটি ফলের আড়তে রশিদ না থাকায় বেশি দামে ফল বিক্রির অপরাধে ২ হাজার টাকা জরিমানা ও আরেকটি ফলের দোকানে মূল্য তালিকা প্রদর্শন না করায় ২ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
সফিক নামে এক ক্রেতা কালবেলাকে বলেন, গত দুদিন আগেও কেজি দরে যে তরমুজ ৮০০-৯০০ টাকায় কিনেছি, তা এখন ৪০০ টাকা পিস হিসেবে নিলাম। নিয়মিত এরকম অভিযান পরিচালনা করা হলে অসাধু ব্যবসায়ীরা আমাদের মতো সাধারণ মানুষদের ঠকাতে পারবে না।
আরেক ক্রেতা রমজান আলী কালবেলাকে বলেন, তরমুজ ওজন দিয়ে বিক্রি হওয়াতে একটি ছোট তরমুজ কিনতে ২০০ থেকে ২৫০ টাকা লেগেছে। যা আমার মতো দিনমজুরের পক্ষে কেনা অসম্ভব ছিল। আজ অভিযান হওয়ায় বড় একটি তরমুজ ৩০০ টাকায় কিনতে পারলাম।
শরীয়তপুরের ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক সুজন কাজী কালবেলাকে বলেন, এমন অভিযান নিয়মিত পরিচালনা করা হবে। ব্যবসায়ীরা যাতে ক্রেতাদের কাছে বেশি দামে পণ্য বিক্রি না করেন, সেই বিষয়টি মাথায় রেখেই অভিযান চালানো হচ্ছে। তবে ক্রেতাদেরও সচেতন হতে হবে। যদি কেউ অন্যায্য দামে পণ্য বিক্রয় করে সেক্ষেত্রে ভোক্তাদের উচিৎ পণ্য ক্রয় হতে বিরত থাকা ও আমাদের কাছে অভিযোগ জানানো।