ইউটিউবে ভিডিও দেখে বিমান বানিয়ে এবং উড়িয়ে সবাইকে চমকে দিয়েছেন দশম শ্রেণির ছাত্র মো. সিয়াম।
তার বাবা হাবিবুর রহমান পেশায় একজন কৃষক। সিয়াম টাঙ্গাইলের সুতি ভিএম পাইলট মডেল সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের কারিগরি শাখার ছাত্র।
জানা গেছে, ছোটবেলা থেকেই কারিগরি কাজের প্রতি ঝোঁক সিয়ামের। বাবার মোবাইলে ইউটিউবে ভিডিও দেখেই ইচ্ছা জাগে বিমান বানানোর। ৫ বছর ধরে টিফিনের টাকা জমিয়ে যন্ত্রপাতি কেনেন সিয়াম।
উৎসাহ দেখে তার বাবাও আর্থিক সহযোগিতা করতে থাকে। আমেরিকান যুদ্ধবিমান এফ-২২ র্যাপ্টরের আদলে বানানো বিমানটির নাম দিয়েছেন বঙ্গবন্ধু এফ-২২ র্যাপ্টর।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা উপজেলা ও গোপালপুর প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক, এবং সূতি ভি এম সরকারি পাইলট মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের সামনে পরিষদ সংলগ্ন হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে বিমানটি শুধু প্রদর্শনীর ব্যবস্থা করা হয়।
সিয়াম জানান, পর্যাপ্ত অর্থ সহায়তা পেলে আরও এগিয়ে যাব। নতুন কিছু তৈরির চেষ্টা চালিয়ে যাব। কারিগরি ও বৈজ্ঞানিক কাজে পারদর্শিতার কথা অনেক আগেই বিদ্যালয়ের এক শিক্ষককে জানিয়েছিলাম। তিনি অগ্রাহ্য করেছেন। ঐ শিক্ষকের কারণেই বঙ্গবন্ধু সৃজনশীল মেধা অন্বেষণ প্রতিযোগিতা-২০২৪ এ আমি যেতে পারিনি।
সিয়ামের বাবা হাবিবুর রহমান বলেন, আমি কৃষক মানুষ এতকিছু বুঝি না। ওর এসব কাজের প্রতি আগ্রহ দেখে টাকা চাইলে চেষ্টা করতাম টাকা দিতে।
সুতি ভিএম পাইলট মডেল সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আতিকুর রহমান বলেন, সিয়াম এ ব্যাপারে আমাকে আগে কিছু জানায়নি। আজকে ওর মেধা দেখে আশ্চর্য হয়েছি। ওর প্রতিভার কথা এমপি ও ইউএনওকে জানাব। আজ থেকে ওর গবেষণায় যা দরকার হবে বিদ্যালয়ের মাধ্যমে ব্যবস্থা করা হবে এবং আর্থিক সহায়তার জন্য ইউএনও মহোদয়কে অনুরোধ করব।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. জুলফিকার হায়দার বলেন, সিয়ামের প্রতিভা দেখে আমি বিস্মিত। ওর বানানো জেট বিমানটি চমৎকার লেগেছে। নিজের টাকায় এ রকম একটি প্রকল্প হাতে নিয়ে ও যে স্বার্থক হয়েছে এটি আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে। স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলে ওকে আর্থিক সহায়তা করার চেষ্টা করব।