সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে (ফেসবুক) পরিচিত হয়ে বিয়ের নামে নানা রকম প্রতিশ্রুতি দিয়ে প্রেম; তারপর অন্তরঙ্গ ভিডিও ধারণ করে করতেন ব্ল্যাকমেইল। এভাবে বিবাহিত সুন্দরী নারীদের থেকে টাকা হাতিয়ে নেয়ার ফাঁদ পেতেছিলেন যুবক সেলিম রেজা (২৯)।
বুধবার (২৭ মার্চ) দুপুরে ঘটনার সত্যতা পাওয়ায় পাবনা শহর থেকে তাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এরপর সময় সংবাদকে সেলিম রেজা বলেন, ‘আমার টার্গেট ছিলো বিবাহিত সুন্দরী নারী। প্রেমের ফাঁদে ফেলে তাদের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করা হতো।’
সেলিম আরও জানান, অন্তরঙ্গ ভিডিও ধারণ করে তাদের ব্ল্যাকমেইল করতেন তিনি। বিয়ে করার নামে নানা রকম প্রতিশ্রুতি দিয়ে প্রেম করে তাদের থেকে হাতিয়ে নিতেন টাকা।
গ্রেফতার সেলিম উপজেলার মশুরিয়াপাড়া এলাকার আব্দুল গফুরের ছেলে। র্যাব-১২ পাবনা ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার মেজর এহতেশামুল হক খান এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, এক বছর আগে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে এক তরুণীর (১৮) সঙ্গে পরিচয় ও প্রেমের সম্পর্ক হয় সেলিম রেজার। এরপর তাকে বিয়ে করার প্রলোভন দেখিয়ে ঢাকায় বাসা ভাড়া নিয়ে তারা স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে থাকতেন। পরে বিয়ের জন্য চাপ দিলে সেখান থেকে পালিয়ে নিজ গ্রামে চলে যান সেলিম।
শুধু তাই নয়, বাড়িতে গিয়ে অন্য একটি মেয়ের সঙ্গে গত ২২ মার্চ বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন সেলিম। এ ঘটনা শুনে ভুক্তভোগী ওই তরুণী গত ২৩ মার্চ অভিযুক্ত সেলিম রেজার বাড়িতে যান। তাদের সম্পর্কের কথা পরিবারের সদস্যদের জানালে তারা ওই তরুণীকে জানিয়ে দেন সেলিম রেজাকে অন্য জায়গায় বিয়ে দেয়া হয়েছে। এখন আর তাকে বিয়ে করানো সম্ভব নয়।
এসব কথা শোনার পর বিয়ের দাবিতে সেলিমের বাড়ির সামনে অনশন শুরু করেন ওই তরুণী। তখন তিনি সাংবাদিকদের বলেন, তাকে বিয়ে না করলে তিনি ওই বাড়ি থেকে যাবেন না। বিষপানে আত্মহত্যা করবেন বলেও হুমকি দেন।
বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করে। সেলিমের পরিবার থেকে কোনো সমাধান না পেয়ে পরবর্তীতে ভুক্তভোগী তরুণী থানায় ধর্ষণ মামলা করেন। এরপর সেলিম রেজাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য তাকে ঈশ্বরদী থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।