নাম সাগর। ২২ বছর বয়সে করেন চার বিয়ে। কিশোর গ্যাংয়ের সঙ্গে জড়িয়ে করেন নানা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড। এতে অতিষ্ঠ হয়ে ছেলেকে ত্যাজ্য করেন লক্ষ্মীপুরের কমলনগরের চরলরেঞ্চ ইউনিয়নের সদস্য মো. সিরাজুল ইসলাম। ইউপি সদস্য বাবার এমন সিদ্ধান্তকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন এলাকার সচেতনমহল। শনিবার (১৬ মার্চ) রাতে মুঠোফোনে বিষয়টি নিশ্চিত করেন সাগরের বাবা মো. সিরাজুল ইসলাম।
এর আগে বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) সকালে লক্ষ্মীপুর জজকোর্টে নোটারি পাবলিকের মাধ্যমে সাগরকে ত্যাজ্য করার ঘোষণা দেন তিনি। সিরাজুল ইসলাম উপজেলার চরলরেঞ্চ ইউনিয়ন পরিষদের ৩নং ওয়ার্ডের সদস্য।
তিনি বলেন, সাগর তার ঔরষজাত ছেলে। তার স্ত্রীর নাম শারমিন আক্তার। সাগর বাবা-মায়ের অবাধ্য হয়ে সমাজের অসৎ চরিত্রের লোকদের সঙ্গে আড্ডা দিয়ে নিজের নৈতিক চরিত্রের অধঃপতন ঘটাচ্ছে। সাগরের অসৎ চাল-চলন, আচার-ব্যবহার ও পরিবারের লোকজনকে হত্যার হুমকি দেয়াসহ নানাবিধ কর্মকাণ্ডে অতিষ্ঠ তার মা-বাবা। ইতোমধ্যে সাগর নিজের ইচ্ছেমতো অপ্রাপ্ত বয়স্ক মেয়ে ও দুই সন্তানের বয়স্ক নারীসহ ৪টি বিবাহ করে। পরিবারের লোকজন ও আত্মীয়স্বজন বহু চেষ্টা করেও তাকে সঠিক পথে আনতে ব্যর্থ হয়।
এর আগে লক্ষ্মীপুর আদালতে বাবা বাদী হয়ে ছেলে সাগরের বিরুদ্ধে মামলা করেন। আদালত তাকে জেলে পাঠায়। পরবর্তীতে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসবে এ প্রতিশ্রুতি দিলে আপোষ শর্তে ছেলেকে জমিনে মুক্ত করেন। জেল থেকে বের হয়ে আগের মতো আবারও বিভিন্ন অপরাধে জড়িয়ে পড়ে সাগর। এতে অতিষ্ঠ হয়ে ছেলেকে ত্যাজ্য করার ঘোষণা করেন বাবা সিরাজুল ইসলাম।
সিরাজুল ইসলাম বলেন, ছেলেকে ভালো রাখতে পড়ালেখা ও ব্যবসাসহ সবরকম চেষ্টা করেছি। কিন্তু সে এ বয়সে ৪টি বিবাহ করেছে। সমাজে তার সম্মান ধুলোয় মিশিয়ে দিয়েছে। সে কিশোর গ্যাংয়ের সদস্য। চুরি থেকে শুরু করে সব ধরনের খারাপ কাজে জড়িয়ে পড়েছে সে। তাই বাধ্য হয়ে তিনি নিজ ছেলে সাগরকে ত্যাজ্য করে দেন।
এদিকে বখাটে ছেলের বিষয়ে অভিভাবক হিসেবে এ ধরনের কর্মকাণ্ডে এলাকায় পড়েছে ইতিবাচক প্রভাব। বখাটেদের সামাজিকভাবেও বয়কটের দাবি সচেতনমহলের।