Friday, January 31, 2025

আমার মৃত্যুর জন্য জাহেদা দায়ী, জীবনটা নষ্ট করেছে কাওছার

আরও পড়ুন

আমার মৃত্যুর জন্য জাহেদা দায়ী। আমার জীবনটা নষ্ট করেছে কাওছার’—মৃত্যুর জন্য এই দুজনের নাম চিরকুটে লিখে সুবর্ণা আক্তার সুমনা (১৭) নামে এক কিশোরী বিষপানে আত্মহত্যা করেছেন।

শনিবার (১১ জানুয়ারি) সকালে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় সুমনা। পরে ময়নাতদন্ত শেষে রোববার সন্ধ্যায় মরদেহ পরিবারের নিকট হস্তান্তর করেছে পুলিশ। এর আগে, ৮ জানুয়ারি রাতে কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারী উপজেলার বলদিয়া ইউনিয়নের পশ্চিম কেদার গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

সুবর্ণা আক্তার সুমনা ওই গ্রামের শহিদুল ইসলামের মেয়ে।

মৃত্যুর আগে লেখা চিরকুটে আরও রয়েছে—আমার জীনের মূল্য নেই, এসবের পেছনে সব দায় জাহেদার। আমি এই দুনিয়া থেকে চলে যাইতেছি, আমি তখনি শান্তি পাব যখন জাহেদা আর কাওছার সারা জীবন জেলে ধুঁকে ধুঁকে মরবে।

আরও পড়ুনঃ  ধানের চাতালে ধরা পড়লো রাসেল ভাইপার, এলাকাজুড়ে আতঙ্ক

মুক্তিপণ দিয়ে ৪ ঘণ্টা পর ছাড়া পেলেন ঢামেক চিকিৎসক

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, সাদুমোড় এলাকার শহিদুল ইসলামের মেয়ে সুমনার সঙ্গে বাড়ির পাশের আজাদ আলীর ছেলে কাওছারের (২২) সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। দীর্ঘদিন মন দেওয়া-নেওয়ার একপর্যায়ে তাদের মাঝে শারীরিক সম্পর্ক হয়। এতে ওই কিশোরী গর্ভধারণ করে। বিষয়টি জানাজানি হলে মেয়ের পরিবার বিয়ের জন্য কাওছারকে চাপ দেয়। বিষয়টি নিয়ে কয়েক দফা গ্রাম্য সালিশ বসে। এতে কোনো প্রকার সুরাহা হয় না। অন্য দিকে কাওছার গোপনে অন্য জায়গায় বিয়ে করে। পরে উপায়ান্তর না পেয়ে মেয়ের পরিবার কাওসারসহ চারজনের নামে কুড়িগ্রাম আদালতে একটি মামলা দায়ের করে। আদালত কচাকাটা থানাকে মামলাটি ১০ জানুয়ারির মধ্যে রেকর্ড করার আদেশ দেন।

আরও পড়ুনঃ  মেজরের সঙ্গে বাকবিতণ্ডা: গুলশানের সহকারী পুলিশ কমিশনার প্রত্যাহার

এদিকে মেয়ের গর্ভধারণের বয়স পাঁচ মাস পার হলেও সন্তানের স্বীকৃতি না পেয়ে ৮ জানুয়ারি রাতে বিষপান করে সুমনা। পরে পরিবারের লোকজন তাকে উদ্ধার করে ভূরুঙ্গামারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করায়। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে কর্তব্যরত চিকিৎসক। রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১১ জানুয়ারি শনিবার সকালে মারা যায় সুমনা। ময়নাতদন্ত শেষে আজ রোববার সন্ধ্যায় মরদেহ পরিবারের নিকট হস্তান্তর করেছে পুলিশ।

আরও পড়ুনঃ  দরজা ভেঙে দাদি ও নাতিকে কুপিয়ে হত্যা

কচাকাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ছানোয়ার হোসেন জানান, আদালতের আদেশ পাওয়ার পর মামলাটি ৭ জানুয়ারি রেকর্ড করা হয়েছে। আসামিদের গ্রেপ্তারে চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।

আপনার মতামত লিখুনঃ

সর্বশেষ সংবাদ