অন্তর্বর্তী সরকারের নতুন ২ জন উপদেষ্টাকে দপ্তর বণ্টন করে দেয়া হয়েছে। এ ছাড়া পুরোনো ৬ উপদেষ্টার দপ্তর পুনর্বন্টন করা হয়েছে।
সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে মোস্তফা সরয়ার ফারুকীকে, শেখ বশিরউদ্দীন পেয়েছেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এবং বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়। মাহফুজ আলমকে এখনও কোনো দপ্তর বা মন্ত্রণালয় দেয়া হয়নি।
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের হাতে আছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
সালেহ উদ্দিন আহমেদের হাতে অর্থ মন্ত্রণালয়। ড. আসিফ নজরুলের হাতে আইন, বিচার আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়। হাসান আরিফের হাতে ভূমি মন্ত্রণালয় এবং বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়।
আলী ইমাম মজুমদার পেয়েছেন খাদ্য মন্ত্রণালয়। আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া পেয়েছেন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় এবং স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়।
ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব:) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয় এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব শেখ আব্দুর রশীদ স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, এই আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে।
নতুন করে তিনজন শপথ নেয়ায় অন্তর্বর্তী সরকারে প্রধান উপদেষ্টাসহ মোট উপদেষ্টা হলেন ২৪ জন।
উল্লেখ্য, গেল ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে ভারতে পালিয়ে যান শেখ হাসিনা। ওইদিনই বিলুপ্ত হয় মন্ত্রিসভা। পরদিন ৬ আগস্ট দ্বাদশ জাতীয় সংসদ ভেঙে দেন রাষ্ট্রপতি। এরপর গত ৮ আগস্ট শপথ নেয় অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। এ সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব নেন শান্তিতে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূস। ওই সময় নিয়োগ পান ১৬ জন উপদেষ্টা। ঢাকা ও দেশের বাইরে থাকায় তিনজন উপদেষ্টা ওইদিন শপথ নিতে পারেননি। তারা পরে শপথ নেন।